
একের পর এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে যাচ্ছিল, কখনো ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আবার কখনো বা প্রধানমন্ত্রী নিজে। বার বার বৈঠক করে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করে বুঝে নিতে চাইছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিছুক্ষন আগেই চিফ ডিফেন্স স্টাফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর তিন প্রধানকে নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে অত্যন্ত গোপন বৈঠক সেরে নিয়েছেন। সেখানেই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যেভাবে দেশের সবচেয়ে উচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ আসনে থাকা কয়েকজন লাগাতার বৈঠক করে যাচ্ছিলেন, তাতে করে বোঝাই যাচ্ছিল, ভারত এবার একটা অতি বড় কিছু করতে চলেছে। উচিত শিক্ষা দিতে চলেছে সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর পাকিস্তানকে। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিল একজন পাক কমান্ডো , যে কিনা বর্তমানে লস্কর ই তৈবার নেতা, সেই রাক্ষস মুসাকে নিকেশ করতেই হবে। বিভিন্ন তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই জঙ্গীদের পিছনে ছিল পাকিস্তানের হাত. আর তাই গত কয়েক দশক ধরে ভারতকে রক্তাক্ত করতে থাকা পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আর তাই পহেলগাঁওয়ের ঘটনার ঠিক সাতদিনের মাথায় ভারত প্রত্যাঘাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ‘নো টলারেন্স’।
এবার শুধুই প্রত্যাঘাত আর প্রত্যাঘাত। ছাড়া হবে না কাউকেই, রেহাই পাবে না কেউ। বড়সধপরিকর ভারত। আগামীকাল দেশের সর্বোচ্য পদাধিকারীরা ফের একবার বৈঠকে বসবেন এবং তারপরেই হট বড় ঘোষণা হতে পারে দেশবাসীর জন্যে।