
আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২২/০৫/২০২৫ : তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মীর সফর করতে গিয়েছে। তৃণমূলের এই কাশ্মীর সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অপারেশন সিঁদুরের সময় সীমান্তের ওপার থেকে যে পাকিস্তানি গোলাগুলি এসে আছড়ে পড়ছিল এপারে, সেই সময় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সীমান্তে থাকা গ্রামগুলিতে। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই সময়, তা চাক্ষুষ করতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল তিনদিনের কাশ্মীর সফরে গিয়েছে। এই দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়ান, মহম্মদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর ও মানস ভূইঞা। তৃণমূলের এই দলটি গতকাল শ্রীনগরে গিয়ে পৌঁছেছে। আগামীকাল তাঁরা কাশ্মীর সীমান্তে পুঞ্চ, রাজৌরি ছাড়াও শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন।

এই দলের সদস্য সাগরিকা ঘোষ বলেন, মানবিকতা এবং সহানুভূতির কারণেই আমাদের কাশ্মীর সফর। আমি সীমান্তবর্তী গ্রামে গিয়ে বলতে চাই তারা যেন নিজেদেরকে অসহায় এবং একা মনে না করে। . তাদের পাশে আমরা আছি। আমরা সরকারকে বলতে চাই, সীমান্তবর্তী এই গ্রামগুলিকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। অনেক কিছু হারাতে হয়েছে। তাই তারা যেন উপেক্ষিত থেকে না যায়। “
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের এই কাশ্মীর সফর নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এটা একটা ব্যক্তিগত ভ্রমণ। পশ্চিমবঙ্গে এখন গরম , কাশ্মীর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা। তাই গরমের হাত হেকে বাঁচতে কাশ্মীর ভ্রমন করছেন তৃণমূল নেতারা। ওরা পশ্চিমবঙ্গ বিরোধী, ওরা হিন্দু বিরোধী। ওরা নিজেদের রাজ্যের সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করে। দুর্নীতি, স্বজন পোষণ এবং ধ্বংসের রাজনীতি ছাড়া ওরা আর কিছু করে না নিজেদের রাজ্যে। ওদের আগে যাওয়া উচিত ছিল মালদহ, রতুয়া, মোথাবাড়ি এবং সামশেরগঞ্জ বা ধুলিয়ানে। কাশ্মীর রিপোর্ট যথেষ্ট নয়, তার সঙ্গে মুর্শিদাবাদ রিপোর্টও জুড়ে দিতে হবে। তবেই সেই রিপোর্ট সম্পূর্ণ হবে, নইলে নয়। “