
আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], চ্যাংড়াবান্ধা, জলপাইগুড়ি, ২২/০৫/২০২৫ : চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের, কেন্দ্রিয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই চলছে মানব এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল।*
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই নির্দেশের পর চ্যাংড়াবান্ধা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে দেখা গেছে তৎপরতা। পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে।*
বাংলাদেশে রপ্তানি উদ্দেশ্যে ভারতীয় পণ্যবাহী লরি চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তারা একে একে সীমান্ত অতিক্রম করছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকারের বর্তমান বাণিজ্য নির্দেশিকা কঠোর ভাবে পালন করেই পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে।
সীমান্ত সংলগ্ন ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দেখা গেছে, শুধুমাত্র মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসাধারী মানুষদের যাতায়াত চলছে। পর্যটন ও অন্যান্য ভিসায় এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিক নিলুফা আসমিন, যিনি মায়ের চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছেন, জানান— “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতায়াত করতে পারছি।”
ভারতীয় লরি চালক আকবর আলি বলেন, “আমি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাথর (বোল্ডার) নিয়ে যাচ্ছি। বিএসএফের নজরদারি রয়েছে, তবে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।”
এলাকার বাসিন্দারাও নিরাপত্তা বাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। চ্যাংড়াবান্ধার স্থানীয় বাসিন্দা উলেন রায় বলেন, “পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ তৎপরতায় এখন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি।” একই মন্তব্য করেন আরেক বাসিন্দা জাকির হোসেন, তবে তাঁর মতে, “আরও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, ভারতের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুতকারক খাদ্য সামগ্রী ও রেডিমেড পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে বর্তমানে কেবল কাটা কাপড়ই ভারত প্রবেশ করছে। বাংলাদেশি চালক আব্দুল হানিফ জানান, “আমি কাটা কাপড় নিয়ে ভারতে এসেছি, কোনো অসুবিধা হয়নি।”
সীমান্তে কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে কোনো রকমে চলছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও মানবিক সহায়তা।