প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই ফের রাজবংশী-কামতাপুর জিগির  

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, ২৬/০৫/২০২৫ : প্রধানমন্ত্রী আসার ৭২ ঘণ্টা আগে উত্তরবঙ্গের ভোট ব্যাংক রাজনীতির মূল শক্তি রাজবংশি সম্প্রদায়ের কামতাপুরী ভাষাকে ৮ তম তফসিলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তোড়জোড়, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে।

অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম গুরুত্বপুর্ন উওর পূর্ব ভারতের ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা আলিপুরদুয়ার জেলায় আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৯ শে মে।
প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নির্মাণের কাজ চলছে জোরকদমে, দফায় দফায় রাজ্যে এবং কেন্দ্রিয় নিরাপত্তা এজেন্সি গুলোর মধ্যে চলছে সমন্বয় বৈঠক।


এরই মধ্যে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে কামতাপুরী ভাষা সাহিত্য পরিষদের করা এক সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের ভোট ব্যাংক রাজনীতির মূল শক্তি রাজবংশী সম্প্রদায় এবং কামতাপুরী ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে সাহিত্য, সিনেমা, নাচ গান,এমন সৃষ্টি কৃষ্টির সঙ্গে বেঁচে থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষ।
দীর্ঘ কয়েক দশক থেকেই রাজবংশী সমাজের পক্ষ থেকে কামতাপূর রাজ্যে গঠনের যেমন দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ এবং সশস্ত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে,এর পাশাপাশি উল্লেখিত ভাষার বুদ্ধিজীবী মহলের পক্ষ থেকেও দাবী তোলা হয়েছে সংবিধানের অষ্টম তফসিলিতে কামতাপুরী ভাষাকে অন্তর্ভুক্তির।


প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখার ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে সোমবার ময়নাগুড়ি থেকে সেই দাবিকে সামনে রেখে করা সাংবাদিক সম্মেলনে,
সাংবাদিক সম্মেলনে কামতাপুরী ভাষা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক তথা লেখক এবং চিত্র পরিচালক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি আবেদন পাঠাচ্ছি, যাতে মূলত কামতাপুরী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা আছে । 


অপরদিকে রাজবংশী এবং কামতাপুরী ভাষা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংগঠণের সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, রাজবংশী এবং কামতাপুরী দুটোই এক।  রাজ্যে সরকার যখন কামতা পুরী এবং রাজবংশী দুটি পৃথক ভাষা একাডেমী তৈরি করে সেই সময় আমরা লিখিত ভাবে এই বিষয়টি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তার পরেও রাজ্যে সরকার কি করে দুটি ভাষা একাডেমী তৈরি করেছে সেটি রাজ্য সরকারই একমাত্র বলতে পারবে।


Loading

Leave a Comment