শিলিগুড়িতে এসে তৃণমূল সরকারকে দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার এই রাজ্যে নানারকম সমস্যা তৈরি করার জন্যেই কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলিতে বিলম্ব হচ্ছে “

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য] শিলিগুড়ি,দার্জিলিং, ১১/০৬/২০২৫ : বুধবার শিলিগুড়িতে আসেন ভারতের বন্দর, জাহাজ ও জলপথের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শিলিগুড়ির বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপির নেতৃত্বে সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক ও আলোচনা করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্তনু ঠাকুর।
সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভারতের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টে মূল যোগ দিয়েছেন। তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতকে এক নম্বরে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত অর্থনীতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত কর্মসূচি নিয়েছেন প্রতিটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেরা। রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে বাংলায় সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছে না জন্যই রাস্তা তৈরিতে নানান সমস্যা হচ্ছে।
ভারতবর্ষে বিগত ১১ বছরের ৪০টি নতুন বিমানবন্দর হয়েছে। ৭০ টি বিমানবন্দর কে সাজানো হয়েছে আন্তর্জাতিক মানে। প্রায় ২০০০ স্টেশন কে অমৃত ভারত প্রকল্পে সাজানো হয়েছে। ভারতবর্ষের প্রতিটি পোর্ট কে সাজানো হচ্ছে। প্রতিটি পোর্টে মালবাহী ট্রেন পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের অর্থনীতির ৭০% ব্যবসা পোর্টের মাধ্যমে হয়, সেই কারণে পোর্টকে মর্ডানাইজ করা হচ্ছে। আমাদের দেশকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পৌঁছানোর টার্গেট বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর।
ভারতে তৈরি সামগ্রী গোটা বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে এটাই টার্গেট প্রধানমন্ত্রীর।মেড ইন ভারত এ জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন এক্সপোর্ট বাড়াতে। অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে। বর্তমানে ভারতের মাখনা বিশ্বের দরবারে প্রচুর এক্সপোর্ট হচ্ছে এবং ভারতের অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার নানান সমস্যা তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারকে সহায়তা করছে না। নানান রকম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রীয় সরকারকে অসহযোগিতা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। চিকেন নেক করিডোর কে কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম ভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছে এবং নজর দিচ্ছে। পাশাপাশি চিকেন নেক এলাকায় আরো নানান সুযোগ সুবিধা এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে।
অপারেশন সিন্দুর প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। এটা বিশ্বসেরা পদক্ষেপ। ভারতীয় সেনা, বায়ু সেনা এবং নৌ সেনার পদক্ষেপ চিরস্মরণীয়। বর্তমানে ভারতের ডিফেন্স সেক্টর আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত এবং তা বিশ্বের দরবারে গর্বের। ২৭০ এর বেশি যোজনা বিগত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সাথী মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোন সুযোগ পাচ্ছে না আমজনতা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে দেওয়া হচ্ছে না বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থনৈতিক তলানিতে যাচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ কায়েম করতে কেন্দ্রের সাথে বিবাদ করছে বাংলা।
আগামী দু বছরের মধ্যে ৭ লক্ষ কোটি টাকা দেনায় থাকবে বাংলা।
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে কি বলল সেটা অযৌক্তিক বিষয়। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে কি করল তার হিসাব দিক। হিসেবে মিথ্যে ভরে আছে রাজ্যের রিপোর্টে। স্মার্ট মিটার হলে মানুষের সুবিধা হবে। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ভারতের বন্দর, জাহাজ ও জলপথের মন্ত্রী।
রাজনীতি মানুষের সেবামূলক কাজে দান প্রাপ্ত হওয়া উচিত। কিন্তু একটি সরকার একটি কমিউনিটিকে ঢপের চপ খাওয়াচ্ছে। যার ফল আগামী ২৬ শে পাবে।
সেবক রংপো রেলপথ কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। ধস এবং অন্যান্য কিছু প্রাকৃতিক কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে তবে তা দ্রুত শুরু হবে বলেই জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।