লন্ডন থেকে ফিরেই দলের ১০০ বিধায়কের বিরুদ্ধে কঠোর হবেন মমতা  !

আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৯/০৩/২০২৫ : লন্ডন থেকে ফিরেই নিজের দলের বেশ কিছু বিধায়কের কাছে কৈফিয়ত চাইবেন তৃণমূল সুপ্রীমো  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বোধ হয় দলের শৃঙ্খলা নিয়েই  কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে তাঁকে। 

রাজনৈতিক দলে শৃঙ্খলা থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু এই বিষয়টাই বুঝতে চাইছেন না তৃণমূলের শতাধিক বিধায়ক। দলের সুপ্রীমো  জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বিদেশযাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। বিধানসভায় চলতি সেশনের সমাপ্তি ঘটবে মার্চ মাসের ২০ তারিখে, তাই ১৯ এবং ২০ তারিখে যেন বিধানসভায় তৃণমূলের সব বিধায়ক উপস্থিত থাকেন।  এই ব্যাপারে আগে থেকেই হুইপ জারি করেছিলেন টিএমসি চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের সব বিধায়ক বাজেট সেশনের শেষ দুই দিন অনুপস্থিত থেকে গেলেন। এলেন না বিধানসভায়। 

১৯ ও ২০ তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৬০ জন বিধায়ক উপস্থিত হয়েছিলেন। বাকিরা আসেন নি. দলের চিফ হুইপ এবং সুপ্রীম বলা সত্বেও তাঁরা আসেন নি. এই সংখ্যাটা ১০০এর বেশি।  মমতা বিদেশে ছিলেন বলেই কি এই বিধায়করা দলের নির্দেশ থাকা সত্বেও ঐ  দুদিন অনুপস্থিত থেকে গেলেন ? নাকি মমতাকে দলের অভ্যন্তেরই উপেক্ষা করা সাহস ডেকলহান শুরু হয়ে গিয়েছে ? রাজনৈতিক সমালোচকরা এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। 

অনুপস্থিত থাকা বিধায়করা কেউ কেউ অসুস্থ থাকার কথা বলেছেন, কেউ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে  গিয়ে আহত হওয়ার কথা  কথা বলেছেন, কেউ বলেছেন “ছিলাম তো!!” মমতা বন্দ্যোপধ্যায় লন্ডন থেকে আজ গভীর রাতে ফিরে আসছেন শহরে।  ফিরে এসেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে বসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিধানসভার অফিসে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেদিন তৃণমূলের কারা কারা অনুপস্থিত ছিলেন তার তালিকা সংগ্রহ করা হবে। তবে সামনেই আছে ঈদ, বাসন্তী পূজা এবং রামনবমী, সেসব মিটে  যাওয়ার পর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল শৃঙ্খলা কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। 

বাজেট সেশনের শেষ দিনে বিজেপি ওয়াক আউট করে বেরিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারা যদি বেরিয়ে না যেত, তাহলে সেদিন বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়কদের থেকে বিজেপির বিধায়কদের সংখ্যা বেশি হত।আর সেদিন যদি ফাইন্যান্স বিল নিয়ে ভোটাভুটি হত,  তাহলে বিজেপি জিতে যেতে পারতো এবং ফাইন্যান্স বিল কি পাস করানো যেত ? ।  আর ফাইন্যান্স বিল পাস্ করতে ব্যর্থ হলে সেটা সরকারের প্রতি অনাস্থার জন্যে ভোটাভুটিতে যেতে হত।  যদিও সেটা আর ঘটে নি ।


Loading

Leave a Comment