
আজ খবর (বাংলা), [দেশ] , শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ১৩/০৫/২০২৫ : জম্মু ও কাশ্মীরে বাচ্ছাদের স্কুলগুলি খুলে গেলেও সোপিয়ানে ফের শোনা গেল গুলির আওয়াজ। সেখানে এই মুহূর্তে জঙ্গীদের সাথে এনকাউন্টার চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কিছু সময়ের জন্যে হলেও যুদ্ধ বিরতি চলছে। যদিও গতকাল রাতে সেই যুদ্ধবিরতি বোঝাপোড়াকে লংঘন করেই পাকিস্তানের দিক থেকে বেশ কিছু ড্রোন উড়ে আসতে দেখা গিয়েছে। এই ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যুদ্ধবিরতি থাকা সত্বেও পাকিস্তানের দিক থেকে মাঝে মাঝেই উড়ে আসতে দেখা যাচ্ছে কিছু ড্রোনকে, এই পরিস্থিতিই পুরো দস্তুর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দিচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকাকে। কোথাও যেন একটু শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের মনে।
পাকিস্তানের সাথে সংঘাতের আবহে অনেকটাই বদল এলেও এখনও ধরা পড়েনি পহেলগাওঁয়ে নিরীহ পর্যটকদেরকে যারা গুলি চালিয়ে মেরেছিল সেই জঙ্গীরা। তারা এখনো শাস্তি পায় নি। গোটা উপত্যকায় সেই জঙ্গীদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা করে। যে বা যারা এই জঙ্গীদের খবর এনে দেবে তার পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই খবর এসেছে সোপিয়ানের জঙ্গলে লুকিয়ে আছে জঙ্গীরা।এরা সেই পহেলগাঁওয়ের জঙ্গীরাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই তথ্য পেয়েই নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে গিয়েছে সোপিয়ান অঞ্চলে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জায়গাটি জম্মু থেকে ২১৬ কিলোমিটার এবং শ্রীনগর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পহেলগাঁও থেকে দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার আর সোপিয়ানের সবচেয়ে কাছের পাকিস্তান সীমান্ত হল আগলার নামে একটি ছোট্ট গ্রাম। সোপিয়ান থেকে দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। যদি জঙ্গীরা পহেলগাঁওয়ের দিক থেকে ঘন জঙ্গল ভেদ করে সোপিয়ানে এসে থাকে তাহলে তাদের উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই কোনোভাবে লাইন অফ কন্ট্রোল (LOC) পার করে পাকিস্তানে পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু সেটা সম্ভব হতে দেওয়া যায় না।
সোপিয়ানের বিশাল এলাকা কর্ডন করে ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই দলে আছে কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং আর্মির জওয়ানরা। সোপিয়ান অরণ্যের ভিতরে রীতিমত চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। দুই পক্ষই গুলি চালিয়েছে। এর মধ্যে একজন জঙ্গীকে গুলি করে খতম করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।