
আজ খবর (বাংলা), [দেশ] আদমপুর, পাঞ্জাব, ১৩/০৫/২০২৫ : অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেশের অসাধারণ সামরিক জয়লাভের কান্ডারি যাঁরা সেই বীর সেনা জওয়ানদের অভিনন্দন জানাতে পঞ্জাবের আদমপুরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে নরেন্দ্র মোদী ভারতের বীর বায়ু সেনা ও অন্যান্য সেনা জওয়ানদের মাঝে মিশে গেলেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন দেশের বীর সেনানীদের। আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী আদমপুরের বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সেনা জওয়ানরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীও সেনা জওয়ানদের ভীড়ে মিশে যান।
সেনা জওয়ানদের ভীড়ে মিশে যাওয়ার ছবি প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন. এরপর তিনি ভারত মাতা কি জয় স্লোগান তুল্লে সেনাবাহিনীও সেই স্লোগানে মেতে ওঠে. প্রধানমন্ত্রী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
কিন্তু শুভেচ্ছা সংবর্ধনার জন্যে প্রধানমন্ত্রী আদমপুরকেই বেছে নিলেন কেন ? কারন আদমপুর এয়ার বেশ ছিল অপারেশন সিঁদুরের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। এই জায়গা থেকেই অপারেশন সিঁদুরের জন্যে একের পর এক মিসাইল দাগা হয়েছিল পাকিস্তানে থাকা জঙ্গী ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। আর যে সব সেনা জাওয়ানদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রধানমন্ত্রী দিল্লী থেকে তড়িঘড়ি আদমপুরে পৌঁছে গেলেন, সেই সেনা জাওয়ানরাই হলেন অপারেশন সিঁদুরের নেপথ্য নায়ক।
ভারতের বায়ু সেনা অপারেশনের বায়ু সেনার ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানিয়েছেন, “তাঁদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের মাটিতে থাকা জঙ্গী ঘাঁটিগুলি। সীমান্ত থেকে ১৬৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে সেই ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ু সেনার এই ইউনিট। তবে পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটি অথবা সাধারণ মানুষ কোনোটাই ভারতীয় সেনাবাহিনী টার্গেট হিসেবে নেয় নি। আমরা জঙ্গিদেরকে দেখিয়ে দিয়েছি ভারতীয় মা ও বোনেদের মাথার সিঁদুর সরিয়ে নেওয়ার কি ভয়ঙ্কর পরিনাম হতে পারে।”