
আজ খবর (বাংলা), [দেশ], নতুন দিল্লী, ভারত, ১২/০৫/২০২৫ : আজ কিছুক্ষন আগেই রাত্রি আটটার সময় ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যেভাষণ দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে ঠিক যা কিছু বলযেন, তাতে এই ভাষণকে কোনো রাষ্ট্রের বিজয়ী ভাষণ হিসেবে ব্যক্ত করলে অত্যুক্তি হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের মাটিতে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিদেরকে তাদের কল্পনাতীত শাস্তি দিয়েছে। তারা ভাবতেও পারে নি যে ভারত তাদের অভ্যন্তরে ঢুকে গিয়ে এতটা নির্মম প্রহার করতে পারবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে তাতে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের শক্তি সম্বন্ধে একটা সঠিক বার্তা দেওয়া গিয়েছে।”
মোদী বলেন, “এরপর থেকে ভারতে জঙ্গী কার্যকলাপ করার আগে পাকিস্তান বার বার ভাবনা চিন্তা করবে। এবার থেকে জঙ্গীপনা এবং জঙ্গিদেরকে মদতদাতা দুজনকেই সমান অপরাধী বলে মনে করবে ভারত। এটা মনে রাখতে হবে যে অপারেশন সিঁদুর স্থগিত রাখা হয়েছে, বন্ধ হয়ে যায় নি। ভারত প্রত্যাঘাত শুরু করার তিনদিনের মাথায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চেয়ে ফোন করেছিল। ” এখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পুরোপুরি পিটুনি খাওয়ার পর পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল যুদ্ধবিরতি চেয়ে ভারতের মিলিটারি অপারেশন ডিরেক্টর জেনারেলকে ফোন করেছিলেন।োর বিভিন্ন দেশের কাছেও সাহায্য ও সমর্থন চেয়ে কাতর আবেদন জানাচ্ছিল।” তারপরেও যুদ্ধবিরতি লংঘন করে ভারত সীমান্তে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরপর নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল করলেও আমরা মানব না, ভারতীয় সেনা সবরকম পরিস্থিতির জন্যে তৈরি আছে। “
এখানেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি পাকিস্তানের দিক থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পাশাপাশি পরমাণু হুমকিও দেওয়া হয়ে ছিল ? এদিন তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানকে তাদের জমিতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদকে শেষ করতেই হবে, না হলে গোটা পাকিস্তানই একদিন শেষ হয়ে যাবে।” এদিন মোদী বলেছেন, “সন্ত্রাস আর কথাবার্তা চালানো একসঙ্গে হতে পারে না। সন্ত্রাস আর বাণিজ্য একসাথে হতে পারে না। এরপর পাকিস্তানের সাথে ভারতের কথা হতেই পারে, তবে এবার কথা হবে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। কথা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলেছে, ভবিষ্যতেও চলবে। অপারেশন সিঁদুর হল নিউ নরম্যাল।”