
আজ খবর (বাংলা), [দেশ], অনন্তনাগ, জম্মু ও কাশ্মীর, ২৩/০৪/২০২৫ : এই মুহূর্তে পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈশরণ উপত্যকা ঘিরে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, আধাসেনা ও সেনাবাহিনী। উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির শীর্ষ আধিকারিকরা।
পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তের জন্যে ঐ এলাকায় হাজির হয়েছে এনআইএর একটি বিশেষ দল। তবে সরকারিভাবে এখনো ঘোষণা করা হয় নি যে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এনআইএ করবে। আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে সাহায্যে করছেন এনআইএ আধিকারিকরা। কারন আততায়ীদের খুঁজে বের করাটাই এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সমগ্র কাশ্মীর জুড়ে যে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে তা এক কোথাও অভূতপূর্ব। যেভাবেই হোক আগে জঙ্গীদের ধরতে চাইছে ভারত সরকার। আর সেই কাজেই নেমে পড়েছে সব বাহিনী। শুধুমাত্র আততায়ী জঙ্গিদেরকে খুঁজে বের করার কাজে লাগানো হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলাদা একটি বাহিনীকে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বন্ধে সংক্ষেপে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা শীর্ষ আধিকারিকরা। প্ল্যান তৈরি হচ্ছে দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে, সেটা বলবৎ করা হচ্ছে শ্রীনগরে অমিত শাহের অস্থায়ী অফিসে। আর সেই প্ল্যান অনুযায়ীই ভারতীয় বাহিনী এগোচ্ছে টার্গেটের দিকে। পাশে রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। পাশে থাকার বা সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ইরান, ইউকে, ইতালি, ফ্রান্স, ইরান, মধ্যে প্রাচ্যের দেশগুলি।
ভারত অবিলম্বে আততায়ীদের ধরতে চায় এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চায়। যদি দেখা যায় এই জঙ্গীদের পিছনে কোনো রাষ্ট্র রয়েছে সেই দেশকেও ছেড়ে কথা বলা হবে না, তা সে যেই হোক। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। লস্কর জঙ্গীদের ঘরে ঢুকে মারা হবে। ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। ” অনন্তনাগের হাসপাতালে এই ঘটনায় আহত চিকিৎসারত আছেন অন্তত ৩৬ জন পর্যটক।