
আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৩/০৪/২০২৫ : হিংসা বিদ্ধস্ত মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টহলদারী বাড়ানোর সাথে সাথে প্রচুর পরিমানে গ্রেপ্তারি করতে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
গত কয়েকদিন মুর্শিদাবাদ জেলার জায়গায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছিল। ক্ষিপ্ত আন্দোলনকারীরা পথ অবরোধ করেছিল, বিভিন্ন দোকানপাটে ভাংচুর চালিয়েছিল। পুলিশকে আক্রমণ করা হচ্ছিল। বিভিন্ন যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, এমনকি পুলিশের গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপি নেতারা বার বার অভিযোগ করেছেন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, একটি মন্দিরও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেনি ওই অঞ্চলেরই বহু রাজনৈতিক নেতারা। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, অন্তত ৩০০টি হিন্দু পরিবার মুর্শিদাবাদ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে. তাদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে। “
মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুর, সুতি, ধুলিয়ান সামসেরগঞ্জ সর্বত্রই হিংসা ছড়িয়ে পরে. পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রচুর পুলিশ যেমন তাদের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেছে তেমনি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জেলায় বিএসএফ জাওয়ানদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে। এরপরেই শান্ত হতে শুরু করেছে অশান্ত মুর্শিদাবাদ, মালদা, দিনাজপুর ও নদীয়া জেলাগুলি। সর্বত্র টহলদারি চালানো হচ্ছে, নজর রাখছেন বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারেরা। এখনো পর্যন্ত হিংসা ছড়ানোর জন্যে মোট ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই হিংসা বিদ্ধস্ত এলাকাগুলিতে আধা সামরিক বাহিনীকে নামানো হয়েছে। আদালত এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার দুই পক্ষের তরফ থেকেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। আগামী ১৭ তারিখে এই মামলার শুনানী হবে. সেই শুনানীতে দুই পক্ষকেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে. পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।