কিভাবে এতবড়ো দুর্ঘটনা ঘটে গেল ? দুর্ঘটনা ? নাকি অন্তর্ঘাত ? যদি ষঢ়যন্ত্র হয়, তাহলে কে আছে এর পিছনে ? শত্রুদেশের চক্রান্ত নয় তো ?

আজ খবর (বাংলা), [দেশ] আহমেদাবাদ, গুজরাট,১২/০৬/২০২৫ : মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, গুজরাটের আকাশে ভেঙে পড়ল একটি বিমান। মৃতের সংখ্যা ২০০র বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী (গ্যাটউইক) একটি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (এআই ১৭১) ২৪২ জন প্যাসেঞ্জারকে নিয়ে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল, কিন্তু উড়ানের পরেই সেই বিমানে আগুন লেগে যায় এবং সেই বিমানটি আমেদাবাদের কাছেই মেঘানি নগরে একটি নির্মীয়মান বহুতলের ওপর ভেঙে পরে. গোটা বিমানটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। বিমানের সব যাত্রী মারা গিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেহেতু বিমানটি একটি নির্মীয়মান বহুতলের ওপরে ভেঙে পড়েছে, তার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঐ বিমানটির ধ্বংস স্তুপ থেকে। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঐ বিমানের আগুন নেভানোর জন্যে কাজ করে চলেছে। ঐ বিমানে যাত্রী হিসেবে ছিলেন বিজয় রুপাণী, যিনি পর পর দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্ধারকাজে সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে দুজন মন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও কথা বলে নিয়েছেন। যে কোনোরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে রয়েছে পুলিশের একটি বাহিনী।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওরার কিছুক্ষনের মধ্যেই এআই ১৭১ বিমানটি ভযেজে পরে জনবহুল এলাকায়। বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী ছাড়াও ছিলেন দুজন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ত্রু। দুই পাইলট যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন আট হাজারের বেশি ঘন্টা এবং আর একজনের দেড় হাজারের বেশি ঘন্টা বিমান অভিজ্ঞতা ছিল. টেক অফের পরেই পাইলটরা মে’ডে কল করেছিলেন বলে জানা যায়. সক্রিয় হয়েছিল এমার্জেন্সি প্রটোকল. ‘মে ডে’ হল বিমান উড়ানের ভাসায় আন্তর্জাতিক কোড,যাতে বিমানটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছে। মে ডে মানে মি. এক্ষেত্রে ঠিক কি হয়েছিল সেটা তদন্তে নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা ? নাকি অন্তর্ঘাত ? সেটা জানা দরকার।