আদালতে তোলার সময় সজোরে থাপ্পড় খেল শ্বেতা খান 

তার নির্দেশে সেক্স চক্রে যোগ না দেওয়ায় পাঁচ মাস ধরে অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল এক তরুণীকে. এবার আদালতে তোলার সময় ঠাস করে থাপ্পড় খেতে হল মক্ষীরানী শ্বেতা খানকে।

শ্বেতা খান

আজ খবর (বাংলা),  [রাজ্য] হাওড়া,পশ্চিমবঙ্গ, ১২/০৬/২০২৫ : শ্বেতা খানকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় থাপ্পড় মারলেন যুব তৃণমূল নেত্রী।  যদি থাপ্পড় মেরে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান ঐ মহিলা। 

শ্বেতা খানকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া আদালতে পেশ করে পুলিশ। যখন পুলিশের  গাড়ি থেকে নামিয়ে শ্বেতা খানকে আদালতে পেশ করা হচ্ছিল,  সেই সময় তৃণমূলের এক যুবনেত্রী তাকে থাপ্পড় মারেন। ধৃত শ্বেতা খানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বিক্ষোভ সামলাতেই রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যায় হাওড়া পুলিশ। এরপর এক প্রকার টানতে টানতে শ্বেতা খানকে আদালতের এজলাসে নিয়ে যায় পুলিশ। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,আলিপুরের গোপন আস্তানা থেকে বুধবার রাতে গ্রেফতার  হন শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি বেগম।  সোদপুরে তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় এবার গ্রেফতার হন শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি বেগম। আলিপুরের একটি গোপন আস্তানা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ। এর আগে বুধবার সকালে আলিপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার হয় ফুলটুসি বেগমের ছেলে আরিয়ান খান। 

আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্বেতা খান বার বার সাংবাদিকদের বলতে থাকে যে,গুড্ডু খান নাম একজন তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। নির্যাতিতা মেয়েটিকে সেই নাকি হায়ার করে নিয়ে এসেছিল। ঘটনা আসলে কি, সেটা তদন্ত করে দেখার কাজ পুলিশের। 

এবার হাওড়া পুলিশ মুখোমুখি মা ও ছেলেকে বসিয়ে ওই সোদপুরের তরুণীকে শারীরিক অত্যাচারের ঘটনায় জেরা করবে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি বেগমকে হাওড়া আদালতে পেশ করে পুলিশ। এদিকে, সোদপুরে তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরিয়ান খান গ্রেফতার হয়। বুধবার গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। কলকাতা পুলিশের সাহায্য নিয়ে অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও  তথ্য হাতে পেতে চাইছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আরিয়ান খান ও তার মা শ্বেতা খানের খোঁজে কয়েকদিন ধরেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মোবাইলের সূত্র ধরে আরিয়ানের হদিশ মেলে। তারপরেই তাকে কলকাতা পুলিশের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালেই আটক করা হয়েছিল আরিয়ানের দিদা তথা শ্বেতার মাকে। তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে আরিয়ানের সহযোগী জোয়াকেও। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আরিয়ানের খোঁজ মিললেও মা শ্বেতা ওরফে ফুলটুসির খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। ছেলে ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফুলটুসির খোঁজ পেতে মরিয়া ছিল পুলিশ। বড় প্রোডাকশন হাউসে কাজ দেওয়ার নাম করে তরুণীদের টোপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তারপরে তাঁদের দিয়ে সেক্স র‍্যাকেট চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হত। তেমনই সোদপুরে তরুণীকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজি না হওয়ায় অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। বর্তমানে সাগর দত্ত হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ওই তরুণী। তাঁর শরীরের অবস্থা খুব খারাপ বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের ধারণা ছিল কলকাতার বাইরে যান নি শ্বেতা খান। শহরের কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। ছেলে আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্ত শ্বেতার খোঁজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পুলিশ। অবশেষে খোঁজ মিলল বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন শ্বেতা খান। আর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করার সময় তৃণমূল যুবনেত্রীর সজোরে থাপ্পড় হজম করতে হল শ্বেতা খানকে। এদিকে আজ আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু লোক সাংবাদিকদের কাছে দাবি জানালেন যে শ্বেতা আদৌ তৃণমূলের কেউ নয়।  সে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করেছে। 


Loading

Leave a Comment