গতকাল প্রবল গন্ডগোলের পর আজ থমথমে মহেশতলা, রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী 

কেন বার বার ঘটছে এই সংঘাত ?  কেন পুলিশকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে ? রাজ্যে কেন বার বার ঘটছে এই ঘটনা ? 

আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি]  কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১২/০৬/২০২৫ : মহেশতলায় ফের সংঘাত দেখা দিয়েছে। সরকারি জমির ওপর অবস্থিত কোনো একটি নির্মাণকে ঘিরে সেখানে অশান্তি তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে।  গতকাল এই ঘটনা নিয়ে মহেশতলায় তুমুল গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল. পুলিশকে এলাকায় লাঠি চার্জ করতে  হয়েছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছে।

কেউ বলছেন একটি দোকান ঘরকে নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত,  কেউ বলছেন একটি মন্দির তথা একটি তুলসী মঞ্চকে নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মহেশতলায়। অশান্তির আগুন হঠাৎ করেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল। ভাংচুর করা হয় বেশ কিছু দোকানে, দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি অটো  ও গাড়িতে। ইঁট  ও পাথর বৃষ্টি করা হয় পুলিশের দিকে। তাতে অবস্থা আরও ঘোরালো হয়।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়।  গ্রেপ্তার করা হয় অনেককে।

গতকাল মহেশতলায় তুলসীমঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় তুলসী গাছ নিয়ে যান এবং বিক্ষোভ দেখান। আজ বিধানসভায় প্রবেশ করার মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল হিন্দুদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এই ঘটনার জন্যে হিন্দু বিরোধী আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে  দিয়েছেন।

প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর অবশ্য বলেন, “গতকাল পুলিশ সঠিক ভূমিকাই  নিয়েছিল। গতকালের হামলায় পুলিশকেও মার খেতে হয়েছিল, তারপরেই পুলিশ মার্ দিয়েছিল।” পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতাদের উস্কানিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।” 

বিজেপি নেতা অর্জুন সিং  বলেন, “এই ধরনের সংঘাত কিভাবে বুঝে নিতে হয় তা আমরা জানি। আমি আমার দলকে বলব কড়া  হাতে এইসব কিছুকে রুখে দিতে । আমাদের মহেশতলায় পৌঁছানো দরকার। আমরা পথে নেমে প্রতিবাদ করব।” 

রাজনৈতিক চাপানউতোর যাই  হোক না কেন, কিছু মানুষ এই ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে কেন ? এটা  কি শুধুই রাজনৈতিক সংঘাত ? সাম্প্রদায়িক সংঘাত ?  নাকি অন্য কিছু ? পুলিশের কাছে কি এতবড় ঘটনার  কোনো আগাম তথ্য ছিল না ?  গতকাল পুলিশকেও আক্রমন করা হয়েছিল, কিন্তু তা সত্বেও মাথা ঠান্ডা রেখে পুলিশ গোটা পরিস্থিতি সামলেছে।  সেক্ষেত্রে পুলিশের প্রশংসা প্রাপ্য।  কিন্তু এই ধরনের ঘটনা বার বার কেন ঘটে চলেছে ? কখনো মুর্শিদাবাদে, কখনো মহেশতলায় ? রাজ্য সরকারের এই বিষয়গুলি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত এবং সমাধানের পথ খোঁজা উচিত  বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ৮ থেকে ৮০ জন সাধারণ।


Loading

Leave a Comment