সিরাজগঞ্জে ঠাকুর পরিবারের কাছারিবাড়িতে হামলার ঘটনার নেপথ্য কারণ কি ? বাংলাদেশ পুলিশ কি বলছে ?

আজ খবর (বাংলা) [আন্তর্জাতিক,] ঢাকা,বাংলাদেশ,১৩/০৬/২০২৫ : নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে কবিগুরু র্বান্দ্রনাথঠাকুরের কাছারিবাড়িতে হামলার ঘটনায় মোট পাঁচজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
বাংলাদেশের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক কাছারিবাড়িটি একটি সংরক্ষিত স্মৃতি সৌধ। এখানে প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন এই ভবনটিকে দর্শন করতে। গত ৮ই জুন, একজন দর্শনার্থী এবং ঐ ভবনের এক কর্মাচারীর মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝির জন্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। তারই ফলস্বরূপ কয়েকজন ঐ ভবনে হামলা চালিয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ঐ ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।”
বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় শাহনাওয়াজ নামে এক ব্যক্তিকে ঐ ভবনের প্রত্নতত্ব বিভাগের তত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান আটকে রেখেছিলেন এবং মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সেই ব্যাপারেও তদন্ত চালাচ্ছে। ১০ই জুন কিছু মানুষ শাহনাওয়াজের পক্ষে মানব বন্ধন তৈরি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন এবং হাবিবুরের শাস্তির দাবী জানাতে থাকেন।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে “রবীন্দ্র স্মৃতি সৌধ পুরোটাই অক্ষত আছে। ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে সেখানে কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটে নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সন্মান তেমনি আছে যেমনটা আগেও ছিল। তাঁকে অসম্মান বা অবমাননা করার মত কোনো ঘটনা ঘটে নি। বরং এটা লক্ষণীয় যে এ বছর ২৫শে বৈশাখ শিলাইদহ, কুষ্টিয়া, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁয় কবির ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকীযথেষ্ট জাঁকজমকের সাথে পালন করা হয়েছে।”