
আজ খবর (বাংলা), [দেশ] সুকমা, ছত্তিশগড়, ২৯/০৩/২০২৫ : ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে মাওবাদীদের প্রচন্ড গুলির লড়াইয়ে খতম হল ১৬ জন মাওবাদী। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ নিরাপত্তা বাহিনী ছত্তিশগড়ের সুকমা অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালায়, সেখানেই গুলি বিনিময় শুরু হয়ে যায় মাওবাদীদের সাথে। দুই পক্ষই ব্যাপক গুলিবৃষ্টি চালাতে শুরু করে. এই এনকাউন্টারে শেষ পর্যন্ত ১৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করাও হয়েছে।
কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আগামী ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদেরকে সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী নীল নকশা তৈরি করা হয় এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। ইতিমধ্যেই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী। আর আজ নিকেশ করা হল ১৬ জনকে। উদ্ধার করা গিয়েছে প্রচুর পরিমানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র। এটা মাওবাদীদের ওপর আরও একটা বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবারের অপারেশনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “যাঁরা এখনও নিজেদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র রেখে দিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমার আবেদন, অস্ত্র সমর্পন করে ধরা দিন। কারন অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে কারোর মঙ্গল করা যায় না। শান্তি থাকলে তবেই উন্নয়ন বা মঙ্গল করা যায়। ” এদিন মাওবাদীদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু এ কে ৪৭ রাইফেল, সেলফ লোডিং রাইফেল, ইনসাস রাইফেল ছাড়াও আরও কিছু অস্ত্রশস্ত্র। সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এনকাউন্টারে দুজন জওয়ান আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
সুকমা অঞ্চলে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় অপারেশন। দুই পক্ষের গুলির লড়াইও চলেছে বেশ কিছুক্ষন ধরে। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। মৃত ১৬ মাওবাদীদের পরিচয় জানা যায় নি, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।