বহু মানুষ অনেক চেয়ে চিন্তেও আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছেন না, আবার কেউ আবাস যোজনায় ঘর পেয়ে তা থেকে ব্যবসা করে চলেছেন।

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], শান্তিপুর, নদীয়া, ২৫/০৬/২০২৫ : নিজস্ব সংবাদদাতা : সরকারি আবাস যোজনার ঘরে মানুষ থাকেন না কেউ ! চলছে কন্ট্রাক্টরির রমরমা ব্যবসা। অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা শান্তিপুর পৌরসভার পৌর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় শাসকদলকে তোপ বিজেপি সাংসদের।
বাড়ি ঘর যতই থাক শাসক দলের কর্মকর্তা হিসাবেই হোক কিংবা পৌর কর্মচারী, ভাগ নেওয়াটাই যেন অধিকার । আর তাইতো সরকারি আবাস যোজনার ঘরে মানুষ থাকার লোক না থাকলেও গোডাউন ভাড়ার মোটা টাকা আসছে প্রতি মাসে। অথচ একই ওয়ার্ডে কত মানুষ এখনো পর্যন্ত রয়েছেন সরকারি এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত।
বেনজির এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের বিসি রায় রোড সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দা রাজু ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। পৌর কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন শান্তিপুর পৌরসভায়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিসি রায় রোড রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জমিতে ২০১৮ সালে সরকারি আবাস যোজনা তালিকায় নিজের নাম পাকাপাকিভাবে অন্তর্ভুক্ত করিয়ে নেন তিনি। কিন্তু নিজেদের দু’দুটো বাড়ি ছেড়ে সরকারি এই আবাস যোজনায় থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, তাই পৌরসভারই এক ইঞ্জিনিয়ারের ব্যক্তিগত ইমারতি ব্যবসার জিনিসপত্র রেখে ভাড়া বাবদ পেয়ে থাকেন মোটা টাকা। এমনটাই জানা গেছে এলাকা সূত্রে।
শাসক দল হোক কিংবা বিরোধী অথবা সাধারণ নাগরিকদের গুঞ্জন এই নিয়েই! তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন এই ওয়ার্ডেই কত প্রান্তিক পরিবার রয়েছে যাদের মাথার উপর এখনো ছাদ জোটেনি, দিনের পর দিন তারা আবাস প্রকল্প পেতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সরকারি এ দপ্তর থেকে ওই দপ্তর। অথচ যাদের প্রয়োজন নেই সেই সমস্ত বৃত্তবান মানুষজন শুধুমাত্র দলের প্রভাব খাটিয়ে কিংবা পৌরসভার চাকরির সুবাদে এভাবে যদি সরকারি আবাস নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে ভাড়া দেন, তাহলে সমাজের কাছে কোন বার্তা পৌঁছায় ! রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার নয় কি!
আর এই নিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের বিরুদ্ধে দল বিজেপি সাংসদ ।
যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিপুর পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের মেম্বার শুভজিৎ দে জানান বিষয়টি তার সময়কালের নয়। তবে অবশ্যই নিন্দনীয়।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, অভিযোগ জমা পরলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌর কর্মচারী এবং এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব রাজু ঘোষ অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, পুরসভার সামান্য বেতনে তিনি কাজ করেন, সেক্ষেত্রে পরিবারের খরচ যোগাতে সামান্য অর্থ উপার্জন হয় এমন পড়ে থাকা এই ঘর থেকে সিমেন্ট রাখার ব্যবসা করা অন্যায় কোথায় ! তবে ভাড়া দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে আবাস যোজনার প্রাপ্তি স্বীকারের জন্য সরকারি ফলক কিংবা নীল সাদা রং সম্পর্কে বলেন একটি কাগজ লাগানো ছিল দেয়ালে তা হয়তো উঠে গেছে নীল সাদা রং তখন করা হতো না। যদিও এই ব্যবসায়িক ঘর নিয়ে এখন চাঞ্চল্য শান্তিপুরে।