রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বহাল তবিয়তে থাকা মনোজিৎ এখন কড়া পুলিশ পাহারায়। প্রভাবশালী তকমা দিল পুলিশই

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৪/০৭/২০২৫ : আজ একেবারে ভোররাতে মনোজিৎদেরকে নিয়ে কসবা আইন কলেজে তথ্যানুসন্ধানে গিয়েছিল পুলিশ। পাশাপাশি গোটা কলেজের থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে। এদিকে আদালতের নির্দেশেই কসবা আইন কলেজ আগামী সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
আজ ভোর রাতে কসবা কাণ্ডের মূল অপরাধী মনোজিৎ মিশ্র ও অপর দুই অভিযুক্তকে কসবা আইন কলেজে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর থেকে টানা চার ঘন্টা ধরে ধর্ষণ কাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ নাট্যরূপ সাজিয়ে তোলা হয়, তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। লাগাতার জেরা করার পর তাদেরকে ফের নিয়ে চলে যায় পুলিশ। জিজ্ঞসাবাদের সম্পূর্ণ ভিডিও তুলে রাখা হয়। জেরা পর্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয় নি পুলিশের তরফ থেকে।
পাশাপাশি আজ কসবা আইন কলেজের থ্রি ডি ম্যাপিং করা হয়। যাতে এরপর অন্যত্র গিয়ে এই তদন্তের জন্যে জিজ্ঞসাবাদ করতে কোনো অসুবিধা না হয়। কলেজের মেইন গেট থেকে শুরু করে গোটা কলেজ ভবন এবং গার্ড রুম যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, সেইসব জায়গার থ্রিডিম্যাপিং করানো হয়।আসলে এই মামলায় এভিডেন্স এবং সাক্ষী দুইয়ের ওপরেই জোর দিতে চাইছে পুলিশ। আগামী ১০ তারিখে (১০/০৭/২৫) গোটা মামলার কেস ডায়রি জমা করার কথা রয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।
কসবা ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অপরাধী মনোজিৎ মিশ্রকে পুলিশই প্রভাবশালী তকমা দিয়েছে। এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই কসবা কলেজে একজন দুস্কৃতির মত আচরণ করে আসছিল। তারপরেও সে রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে দিব্যি নিজের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছিল। সে এই কলেজের প্রাক্তনী ছিল এবং এখানেই সে একজন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিল। সেই কাজ থেকে অবশ্য আগেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে এই কলেজে সে এই কাজ পেল, তা নিয়ে অনেকগুলি মতামত সামনে আসছে। তবে এটা পরিষ্কার যে একজন টিএমসিপি নেতা কলেজে গিয়ে রাজনৈতিক দাদাদের আস্কারায় রীতিমত দাদাগিরি চালিয়ে গিয়েছে দিনের পর দিন। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত তাকে কিচ্ছুটি বলে নি। আজ অবশ্য তার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করার জন্যে হাজিরা খাতাটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।