
আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], শিলিগুড়ি,দার্জিলিং, ০১/০৬/২০২৫ : শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় হিন্দুদের ওপর হিং*সার ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঐ ঘটনায় হিন্দুদেরকেই গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে আগামীকাল শিলিগুড়িতে ২৪ ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়া অঞ্চলে অশান্তির সূত্রপাত হয় একটি মাংস সরবরাহের গাড়িকে ঘিরে। এই গাড়িটিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে দুই গ্রূপের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের অঞ্চল প্রেসিডেন্ট লক্ষণ বনশাল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দুরা নির্যা*তনের শিকার হয়ে আসছে। হিন্দুদের ব্যবসা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু মহিলা এবং শিশুরা আতংকিত হয়ে রয়েছে। আমরা আগামীকাল শিলিগুড়িতে বনধ এর ডাক দিয়েছি।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গত ৩০শে মে মাটিগাড়ায় বজরং দলের সদস্যরা একটি গাড়িকে আটকায়, এই গাড়িটিতে মাংস ছিল বলে বলা হলেও আসলে ঐ গাড়িতে লুকিয়ে অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। গাড়িটিকে ঘিরে নিয়ে বজরং দল প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়, তখন ক্ষেপে গিয়ে বজরং দলের সদস্যরা গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়. এই ব্যাপারে থানাতেও একটি এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এসে এতকিছু না দেখেই বজরং দলের সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় এবং ১৪-১৫ ধারায় কেস দিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সোমবার বনধ ডাকা হয়েছে। আগামীকাল শিলিগুড়ি শহর সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আমি সকলকেই সনাতন ধর্ম রক্ষার্থে বনধ সফল করার আহবান জানাচ্ছি।”
বনশাল আরও বলেন, “আমরা কাউকে আঘাত দিতে চাই না। কিন্তু যখন একটা সরকার শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে, তখন আর পুলিশের থেকে বেশি কি আশা করা যায় ? যখনই হিন্দুদের কোনো উৎসব হয়, তখনই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে চতুর্দিক ঘিরে দেয়। যেন সর্বত্র গন্ড*গোল লেগে গিয়েছে আর অন্যদিকে ক্রিমিনালদের সুরক্ষা দেয় তারা। ”