
আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০১/০৬/২০২৫ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরের ঠিক দুইদিন পর রাজ্যে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তিনি দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তাঁর কণ্ঠে ২০২৬এর ভোটে রাজ্যে বিজেপির জয়ধ্বনির হুঙ্কার শুনতে পাওয়া গেল।
নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে থেকে অমিত শাহ আজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকারের সূত্রপাত হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একবার হিংসা বাদ দিয়ে ভোট করিয়ে দেখুন, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ আপনার জামানত বাজেয়াপ্ত করে দেবে। আমরা অপারেশন সিঁদুর করেছি, এখানে দিদির পেটে ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। তখন তিনি কিছু বলেন নি, কিন্তু মোদী যখন রাজ্যে এসেছেন তখন রাজনীতি করার জন্যেই দিদি নানারকম কথা বলতে শুরু করেছেন। তিনিও সিঁদুরের অপমান করতে শুরু করেছিলেন। গোটা দেশ মমতাদিকে এই সিঁদুরের অপমানের জবাব দেবে। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়ে যায় নি।
আপনারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে চেয়েছিলেন। মমতাদি আপনি তো একটা সময় মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়েছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন, তখন কেন বাংলাকে দেশের ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেন নি ? এই কাজটা করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী, অথচ তাঁকে একটা ধব্যবাদ জানানোর শিষ্টাচার পর্যন্ত আপনি দেখান নি। আপনি বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারবেন না আপনি।
২০২৬ এর ভোট কাছাকাছি এসে গিয়েছে। প্রত্যেক কার্যকর্তাকে বলব যান প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে যান এবং বলুন এবার এই রাজ্যে দেশভক্তদের ভোট দিন, যারা তুষ্টিকরণ করে তাদের ভোট দেবেন না। মোদীজি যে অর্থ এখানে পাঠায়, তা বাংলার গরীব মানুষের কাজে লাগা উচিত নাকি সিন্ডিকেটের পকেটে যাওয়া উচিত ? মমতা দিদি মুর্শিদাবাদে বিএসএফ আনতে আপনারা চান নি, আমাদের কার্যকর্তা হাইকোর্টে আপিল করে মুর্শিদাবাদে বিএসএফ এনেছিল এবং হিন্দুদের বাঁচিয়েছিল। এরপর আপনাদের নেতা বিএসএফকে গালি দিয়েছিল। মুসলিম ভোট পেতে অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন আপনি। ২০২৬এর পর আপনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। আপনার শাসনকে আমরা মূল সমেত উপরে ফেলব।
দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইস্টার্ন বাইপাসের ধারে তিনি একটি অত্যাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব উদ্বোধন করেন। রবিবার কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে যান, সেখানে মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখেন এবং তারপর দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লীতে ফেরার বিমান ধরেন।