
আজ খবর (বাংলা), কাঠমন্ডু , নেপাল, ২৯/০৩/২০২৫ : নেপাল ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশী দেশটি আবার রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে। সেই সঙ্গে চাইছে নেপাল রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ হিন্দু রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে। এই দাবীগুলি নিয়ে অশান্ত হয়ে উঠেছে নেপাল।
নেপালের অধিকাংশ মানুষ কি ফের তাঁদের রাজাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে ? ঠিক তাই, নেপালের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ চাইছেন নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। তাঁদের বক্তব্য নেপালে রাজার শাসনেই তাঁরা ভালো ছিলেন। তাই তাঁদের পুরোনো রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে নেপালের রাজা হিসেবে ফের তাঁরা অভিষিক্ত করতে চাইছেন। পোখরা থেকে কাঠমান্ডুতে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র ফিরে আসার পর থেকেই এই দাবী জোরালো হয়েছে নেপাল জুড়ে।
একটা সময় নেপাল ছিল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু দেশ। রাজতন্ত্র উঠে যাওয়ার পর নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু নেপালে হিন্দু আধিক্য থাকায় দেশের অধিকাংশ নাগরিক নেপালকে ফের হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাইছেন। এই জন্যে কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরের কাছে তিনকুনে অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখায় রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি ও আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল, যারা নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
নেপালের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন। নেপাল পুলিশকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিবাদীদেরকে সামাল দিতে। নেপাল পুলিশ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান সহ মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এর প্রতিবাদে ফের নেপালের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
মূলত এই দুই দাবী নিয়ে রীতিমত অশান্ত হয়ে উঠেছে নেপাল। গতকাল পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের চেহারা নেয় এই আন্দোলন। পুলিশ জনতার দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে থাকে। রয়ালিস্ট পার্টির সদস্যরা রাস্তায় থাকা সরকারি ও বেসরকারি গাড়িগুলিতে ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বেশ কিছু বাড়ি ও দোকানঘরে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়েছে। গতকাল আন্দোলনে দুজনের মৃত্যুও হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সাংবাদিক। অশান্ত নেপালের দিকে নজর রেখেছে ভারত।