
আজ খবর (বাংলা), [দেশ], নতুন দিল্লী, ভারত, ০৭/০৫/২০২৫ : পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর পাকিস্তানি জঙ্গিদেরকে প্রত্যাঘাত করল ভারত। মধ্যরাত্রে একঝাঁক ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে গিয়ে গুঁড়িয়ে দিলো একের পর এক জঙ্গী ডেরাগুলোকে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’।
গত মাসের ২২ তারিখে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গীরা যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালিয়েছিল, তার বদলা নিতে ভারত দুর্ধষ্য প্রত্যাঘাত হানল। মধ্যরাত্রে ১:০৫ মিনিট থেকে ১:২৮ মিনিটের মধ্যে এক ঝাঁক রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাকিস্তান সীমান্তে গিয়ে মিসাইল হানা চালালো। গুঁড়িয়ে দিল একের পরের এক জঙ্গী ডেরা। এবারে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সরাসরি পাকিস্তানে ঢুকে গিয়ে মিসাইল হানায় জেরবার করে দিল ভারতীয় বায়ু সেনা। মোট ৯টি জায়গায় জঙ্গী ডেরাগুলিকে সম্পূর্ণ ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানও বোমা নিক্ষেপ করতে শুরু করেছে বলে খবর। সেই বোমার আঘাতে ভারতের দিকেও কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে অপারেশন সিঁদুর মধ্যরাত্রে আঘাত হেনে কোনো নিরীহ মানুষের প্রাণ নেয় নি বলে দাবী করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেখানে বেছে বেছে জঙ্গী ডেরাগুলিকেই শুধুমাত্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিখুঁত লক্ষ্যভেদ করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র জঙ্গীদের ডেরাগুলিকেই আঘাত হানা হয়েছে এবং জঙ্গীদেরকেই নিকেশ করা হয়েছে। ভারতের আঘাত শুরু হতেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে পাকিস্তান থেকে।
পাকিস্তান জিও নিউজকে জানিয়েছে যে তারা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় ভারতের এই আঘাতের জবাব দেবে। এই মুহূর্তে যেখানে যেখানে ভারত মিসাইল হানা চালিয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরিমাপ করার কাজ চালাচ্ছে পাকিস্তান। কতজন মানুষের প্রাণ গিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাসূত্রে জানা গিয়েছে অপারেশন সিঁদুর শিয়ালকোট, চাক আমরু, ভীমবের, মুজাফ্ফরাবাদ, কোটলী, গুলপুর, মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরে ৯টি জায়গায় জঙ্গীদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে। এই ডেরাগুলিতে জঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা ছিল, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল. তাদের মগজ ধোলাই করা হত , তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া হত এবং তাদেরকে এই ডেরাগুলি থেকেই নাশকতার কাজে পাঠানো হত।
অপারেশন সিঁদুর সেইসব মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল যারা কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে আপনজনদের চিরতরে হারিয়ে এসেছে।