মমতার সামনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৭/০৬/২০২৫ : নিজস্ব সংবাদ দাতা : গতকাল খিদিরপুরে অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসন্তোষ রয়েই গেল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মনে।
গতকাল বিধ্বংসী আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল খিদিরপুরের হোলসেল মার্কেট নাম খ্যাত অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অন্তত ১৫০০ ছোট বড় দোকান। মার্কেটের মধ্যে এই দোকানগুলো গায়ে গায়ে থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও পুড়ে যাওয়া এই বাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। কিছু কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার থেকে যায়. গতকাল খিদিরপুরের এই গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভোরে গিয়েছিল। আগুন লাগার দুই ঘন্টা পরে দমকল এসে পৌঁছনোর জন্যে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্য,মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দমকল মন্ত্রী সব্যসাচী দত্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। দেখা যায় ঐ বাজার যথেষ্ট ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত। বাজারের সর্বত্র দমকলের গাড়িও ঢুকতে পারে নি। আদিগঙ্গা থেকে রিলে করে জল আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাজারের মধ্যে অগ্নি নির্বাপক কেন ব্যবস্থাপনায় ছিলঁ না।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদর পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। ঐ বাজারের পাশেই একটা জায়গা দেখা হয়েছে, যেখানে আপাতত অস্থায়ীভাবে দোকানদারদেরকে স্থানান্তরিত করা হবে। রাজ্য সরকার নিজে এই অঞ্চলে একটি আধুনিক বাজার তৈরি করে দেবে। কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না । তারপর এখানে যার যেখানে দোকান ছিল, ঠিক তেমনভাবেই ফের একটা করে দোকান তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। কার কোথায় দোকান ছিল সেই তালিকা ইতিমধ্যেই পুলিশ তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ঐ বাজারের ব্যবসায়ীদের মনে এখনো ক্ষোভ তৈরি হয়ে রয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই এতদিন ব্যবসা করে যেতে হয়েছে তাঁদের। এই বাজারে তাঁদের অভাব অভিযোগের এতদিন কোনো সুরাহা হয় নি। রাজ্য সরকার এখনও যে প্রস্তাব দিচ্ছে, সেটাও কতটা পালন করা হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় থেকে যাচ্ছে।