বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ, অভিজ্ঞ নেতা সব কিছুই ছিলেন তিনি। কিন্তু এখন দলের সব অনুষ্ঠানে তিনি ডাক পান না. দলের সাথে কি তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে ? দিলীপ ঘোষ নিজে কি ভাবছেন ?

আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], নিউ টাউন, কলকাতা, ০৪/০৭/২০২৫ : শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন —
আপনি কি তৃণমূলে চলে যাবেন?
আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত পার্টি ঠিক করবে। ভগবানের খাতায় লেখা আছে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে তাই আমি এসেছি। পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। পার্টি আমাকে গাড়ি দিয়েছে, সিকিউরিটি দিয়েছে। আমি নিজে এগুলোর কোনোটাই চাইনি। পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব। আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাইনা।
দিলীপ ঘোষ মানেই তো চমক। আমরা কি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোনো চমক দেখব?
কল্পনা করতে তো পয়সা লাগে না। অনেকেই করছে। ২১ তারিখ পর্যন্ত কল্পনার ডেট দেওয়া হয়েছে। তারিখ পে তারিখ। কিছু একটা মার্কেটে থাকে। দিলীপ ঘোষ মার্কেটে আছে।
তৃণমূলের সঙ্গে তিক্ততা নেই তো আর?
আমার সঙ্গে কুণাল অরূপের অনেক আগে থেকে পরিচয়। এখনও আছে। আগামী দিনেও থাকবে। দিলীপ ঘোষ ওরকম ভাবে ভাবেনা। কাল শত্রু ছিল আজ বন্ধু হল আবার পরেরদিন শত্রু হল, দিলীপ ঘোষ ওইভাবে ভাবে না। যারা ওরকম করে তাদের সমস্যা আছে। দিলীপ ঘোষের এরকম কোনো সমস্যা নেই।
আমি জগন্নাথ মন্দির গিয়ে কারুর প্রতিনিধিত্ব করিনি
আমাকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন। আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক। সেই হিসেবে গেছি। সরকারি প্রকল্প। কিন্তু আমি মনে করি ওই মন্দির তৈরিতে আমার ট্যাক্সের টাকা আছে। এটা কারুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বহু লোক আমাকে ডাকে।