চাকরি হারিয়ে দিশেহারা নদীয়ার সোনার ছেলে 

আজ খবর (বাংলা) [রাজ্য], কৃষ্ণনগর, নদীয়া, ০৪/০৪/২০২৫ :  ২০০২ সালে হাই জাম্পে সোনার মেডেল জিতে  নিয়ে সাউথ কোরিয়ায় উড়িয়েছিলেন ভারতীয় তিরঙ্গা।  এরপর মারণ রোগ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এথলিট সোমনাথ মালো। ২০১৬ সালে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি, ছিলেন স্কুলের করণিক পদের দায়িত্বে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬০০০ চাকরি। রেয়াত পেলেন না সোমনাথ বাবুও। কিভাবে সংসার চলবে, মারণ রোগের চিকিৎসা করবেন কিভাবে?  পরিবারের মুখে অন্ন কোথা থেকে আসবে, সেই দুশ্চিন্তাতেই ভেঙে পড়লেন নদীয়ার বীরনগর হাই স্কুলের সি গ্রুপের কর্মরত ব্যক্তি সোমনাথ মালো। রয়েছে কগাদা প্রশ্ন, উত্তর নেই কোনো। পরিবারের রয়েছে কন্যা সন্তান ও স্ত্রী। মাত্র তিন বছর বয়সে ভুল চিকিৎসায় প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। থেমে থাকেনি জীবনযুদ্ধের লড়াই। প্রতিবন্ধকতাকে সাথে নিয়ে সাফল্যের শীর্ষে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি, এরপর ভারতের হয়ে হাই জাম্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সাউথ কোরিয়ায়, সেখানে সোনার মেডেল ছিনিয়ে নেন সোমনাথ বাবু। জাতীয় সংগীত গেয়ে উড়িয়েছিলেন ভারতীয় তিরঙ্গা, কিন্তু ভালোই চলছিল সংসার। দুচোখে দেখছিল হাজার স্বপ্ন।

অল্প বেতনের সি গ্রুপের চাকরিতেই খুশি ছিলেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ সুনামিতে রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিলের মধ্যেই উঠে এলো তাঁর তার নামও। এমত পরিস্থিতিতে মারণ রোগ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সোমনাথ মালো কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। স্ত্রীর চোখ দিয়ে পড়ছে অশ্রু, মারণ রোগের চিকিৎসা চালাতে না পারলে কিভাবে বেঁচে থাকবেন তিনি ! বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশাই  এখন যেন জীবন সঙ্গী দাঁড়িয়েছে সোমনাথ বাবুর পরিবারে। নদীয়ার তাহেরপুর পৌরসভার অন্তর্গত ডি ব্লকের বাসিন্দা সোমনাথ বাবু চাইছেন, আরো এক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত সোমা পালের নাম বহাল থাকলেও তার নাম বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তার করজোরে প্রার্থনা, রাজ্য সরকারই  একমাত্র তার পরিবারকে বাঁচাতে পারে।


Loading

Leave a Comment