
আজ খবর (বাংলা), [আন্তর্জাতিক], নতুন দিল্লী, ভারত, ৩০/০৪/২০২৫ : পাকিস্তানের সাথে ভারত কি করবে, কখন করবে এবং কিভাবে করবে তা সেনাবাহিনীর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকেই আতঙ্কে কাঁপছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে আক্রমণ করার ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ খোলা ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, তিনি জানিয়েছেন, ‘এবার যা কিছু করবে তা সেনাবাহিনীই করবে’। ভারতীয় ফৌজ ঠিক কি করবে সেটা হয়ত বা আজকের বৈঠকে ঠিক করা হবে। আজ সকাল ১১ টায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে, যেখানে হয়ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সেনাবাহিনী, এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লীর এক সভায় যোগ দিয়ে জানিয়েছিলেন, “আমাদের হাতে সময় খুব কম, কিন্তু লক্ষ্য অনেক বড় রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মাথায় রাখছেন ভারতের চিফ ডিফেন্স স্টাফ। সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক আজ তাঁর তিন বাহিনীকে নিয়ে সেনা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কিভাবে এবং কখন ভারত ঝাঁপিয়ে পড়বে তাদের লক্ষ্যে। ভারতের আকাশ সীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের জন্যে, সমুদ্রসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার পথে ভারত। যদি তাই হয়, তাহলে শুধু হাতে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও ব্যাপক সমস্যায় পড়তে চলেছে পাকিস্তান।
এই মুহূর্তে পাকিস্তান বলতে চাইছে, ভারত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানকে আক্রমন করে ধ্বংস করতে চাইছে। এই ব্যাপারে পাকিস্তান ইউ এন-এর সাহায্যও চেয়েছে। পাকিস্তানিরা বেশ বুঝতে পারছে আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানকে আক্রমন করতে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সাথেই যোগাযোগ রেখে চলেছে। তবে পহেলগাঁও ইস্যুতে তারা ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এখানেই আরও চাপে পাকিস্তান।
ভারতের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট, ভারতে বলছে গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান তাদের জমিতে জঙ্গীদের রীতিমত চাষ করে এসেছে। স্লিপার সেল ছড়িয়েছে ভারত জুড়ে। আর বছরভর ভারতে পাঠিয়েছে জঙ্গীদের নাশকতা করার জন্যে। বিগত বছরগুলিতে অসংখ্য সেনা জওয়ান ও সাধারণ মানুষ রক্ত দিয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন সেইসব জঙ্গীদের নাশকতার কারনে। প্রতি বছর যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভেঙে পাকিস্তানই সীমান্তের ওপার থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করে ; এই সব কিছুই বন্ধ হওয়া দরকার চিরতরে। আর সেই কারণেই পাকিস্তানের প্রতি ভারত এবার কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে।