অবশেষে মহাকাশে পাড়ি দিলেন শুভাংশুরা

বার বার বাধা আসছিল, মনে হচ্ছিল পুরো অভিযানটাই  না বাতিল হয়ে যায়. কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে মহাকাশের দিকে রওনা হল মহাকাশযান, শুরু হল এক্সিয়ম ৪।  শুভেচ্ছা রইল ‘আজ খবর’-এর তরফ থেকেও।  জয় হিন্দ।

আজ খবর (বাংলা), [আন্তর্জাতিক],ফ্লোরিদা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২৫/০৬/২০২৫ :  অবশেষে অপেক্ষার অবসান,তিন নভোশ্চরকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিলেন ভারতীয় নভোশ্চর শুভাংশু শুক্লা।  বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২ টা  ১ মিনিটে এক্সিওম ৪ অভিযান শুরু হয়ে গেল, চার মহাকাশচারী গবেষকদের নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে উড়ে গেল মহাকাশযান। 

মহাকাশে যাত্রা করার আগে বেশ কিছু বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল শুভাংশুদের। অভিযান বাতিল না হয়ে যায়, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা দেখা দিতে শুরু করেছিল। প্রথমবার খারাপ আবহাওয়ার জন্যে অভিযান বাতিলকরা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায়  অভিযানকে স্থগিত রাখতে হয়েছিল। যান্ত্রিক সমস্যার কারণেই তিন চার বার এই অভিযানকে স্থগিত রাখতে হয়েছিল। অবশেষে বুধবার এই মহাকাশযান গবেষণার উদ্দেশ্যে মহাকাশে পাড়ি  দিল। এই মহাকাশযানের পাইলট হিসেবে রয়েছেন ভারতীয় গ্রূপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা।

রাকেশ শর্মার পর শুভাংশু শুক্লাই দ্বিতীয়  নভোশ্চর, যিনি একজন ভারতীয় হয়ে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করে মহাকাশে যাত্রা করলেন। আজ তাঁর মহাকাশযায় অন্তরীক্ষের দিকে যাত্রা করতেই চোখে জল এসে গিয়েছিল শুভাংশুর বাবা সিনিয়র শুক্লার চোখে।  শুভাংশুর ছোটবেলার স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শুভাংশুকে। 

শুভাংশুরা মহাকাশ যারা করে প্রায় ১৪ দিনের সফরে বেশ কিছু গবেষণার কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। মোট ৩১ দেশের ৬০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে দেখবেন তাঁরা। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেবেন পেগি হুইটসন। এছাড়াও মহাকাশযানে আছেন পোল্যান্ডের স্লাওস  উজানানস্কি, ভারতের শুভাংশু শুক্লা ও হাঙ্গেরির টিবর  কাপু।  এই মহাকাশ অভিযান নাসা এবং ইসরো যৌথভাবে সম্পন্ন করছে। 

মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে গিয়ে নানারকম গবেষণা করবেন আগামী ১৪ দিন ধরে। এই গবেষণার মধ্যে রয়েছে পেশীর পুনর্জন্ম, অঙ্কুরিত বীজ, ভোজ্য অণুজীবের বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা, মাইক্রোগ্রাভিটিতে ইলেক্ট্রনিক প্রদর্শনের সাথে মানুষের মিথস্ক্রিয়া পরীক্ষা করা ইত্যাদি ইত্যাদি। চার মহাকাশচারী মহাকাশযানে রওনা হয়ে গিয়ে পৌঁছাবেন মহাশূন্যে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। আগামী সপ্তাহ দুয়েক এই স্টেশনে থেকেই তাঁরা গবেষণার কাজ চালিয়ে যাবেন। তারপর ফের ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।


Loading

Leave a Comment