
আজ খবর (বাংলা), [দেশ], গ্যাংটক, সিকিম, ১০/০৬/২০২৫ : দেশকে সেবা করতে গিয়ে সিকিমে ভূমিধ্বসে প্রাণ হারিয়েছিলেন সিপাহী সাহিনুদ্দিন। দুর্ঘটনার আট দিন পর তাঁর নিথর দেহ ফিরে গেল লাক্ষাদ্বীপে তাঁর বাড়িতে।
উত্তর সিকিমে প্রবল ঝঞ্ঝার মধ্যে ডিউটি করছিলেন সাহিনুদ্দিন। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছিল উত্তর সিকিম। অনেকগুলি জায়গায় ধ্বস নেমেছিল। লাচুং-এর কাছে থাকা সংকালাং সেতুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর পর্যটক উত্তর সিকিমে গিয়ে আটকে পড়েন। সেনাবাহিনী তাঁদেরকে উদ্ধারে নামে। এয়ারলিফট করে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। তাও সেই কাজটাও জটিল হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ার কারনে।
সিকিমের বিস্তর জায়গায় ধ্বসের কারনে বিভিন্ন রাস্তাগুলি বসে যেতে থাকে। ফলে গাড়ি চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পরে। সেখানেও সেনাকে ব্যবহার করা হয়। এই কাজেই ডিউটি করতে গিয়ে ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সিপাহী সাহিনুদ্দিনের। ১৯৯১ সালের ২০ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন দেশের বীর পুত্র সাহিনুদ্দিন, সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১২ সালের ২৪শে মার্চ, দীর্ঘ ১৩ বছর তিনি দেশ মাতৃকার সেবা করে গিয়েছেন। অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ায় সিপাহী সাহিনুদ্দিন শুধু সিকিমের নয়, দেশের সেবা করেছিলেন সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলেও। তাঁর এই কর্ম জীবনে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন সিপাহী সাহিনুদ্দিন।

সিপাহী সাহিনুদ্দিনের নশ্বর দেহ সুদূর সিকিম থেকে তাঁর বাড়ি লাক্ষাদ্বীপের আন্ধ্রত গ্রামে পৌঁছানো হয়েছে। তাঁর দেহ সাহিনুদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে ইন্ডিয়ান আর্মি, এয়ার ফোর্স এবং ইন্ডিয়ান নেভি। এই তিন বাহিনীর তরফ থেকেই এদিন সাহিনুদ্দিনকে বিশেষ শ্রদ্ধা ও সন্মান প্রদর্শন করা হয়। তাঁর নশ্বর দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়।