কসবা কলেজের ছাওয়া নন্দীগ্রামেও, দাদাগিরি টিএমসিপি ছাত্রনেতার 

এ যেন কসবা কাণ্ডের জেরক্স কপি, ধর্ষণের মত কান্ড না ঘটলেও দাদাগিরির অভিযোগ উঠছেই 

আজ  খবর (বাংলা), [রাজনীতি] নন্দীগ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ০৬/০৭/২০২৫ : প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হয়েও কলেজের অস্থায়ী কর্মী তৃণমূল ছাত্রনেতা, কসবা কলেজের বেনিয়মের ছায়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকায়,শোরগোল নন্দীগ্রামে। 

 নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজেই এবার কসবা কলেজের বেনিয়মের মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের টিএমসিপির সভাপতি,  তিনি আবার প্রথম বর্ষের ছাত্র,  তিনিই  আবার কলেজের গ্রুপ ডি অস্থায়ী কর্মী।  কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে কসবা কলেজের গভর্নিং বডিসহ পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। 

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র  যেমন  কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং  তাকে কলেজের গভর্নিং বডিসহ পরিচালন কমিটি কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছিল। সেই সুযোগকে হাতিয়ার করে সে কলেজে দাদাগিরি করত।  সেই একই ছবি উঠে এলো বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে। 

সুমিত মন্ডল বর্তমানে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাকে নাকি গভর্নিং বডিসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কলেজের নিয়োগ করেছে।

অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, কিন্তু  সেখানে বিতর্ক নয়,  বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার রোজকার দাদাগিরি নিয়ে। 

প্রশ্ন উঠেছে অনেক  ! কিছুদিন আগে এবিভিপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপির মধ্যে একটি বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়।  সেই ঘটনা কভার  একটি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়  এবং তাকে ঠেলে কলেজ থেকে বের করে দেয় এই সুমিত মন্ডল। সেদিনই  কলেজের দাদাগিরি ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এবিভিপি।

নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের বর্তমান  ABVP র ছাত্র নেতা নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের সহ-সভাপতি সৃজন ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন,  “সুমিত মন্ডল প্রথম বর্ষের ছাত্র, দীর্ঘ কয়েক বছর কলেজে রয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি,  সে কি করে একটা কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ হতে পারে? এ ও কি  সম্ভব ? ” 

অপরদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সুমিত মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের সামনে সাফ জানিয়েছে, 

“কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে ভালো মনে করেছে,  তারা আমাকে একটা কাজের দায়িত্ব দিয়েছে,  তবে আমি কোন সরকারি বেতন পাই না, আমাকে কাজের মূল্য হিসেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটা সাহায্য করে, সেই টাকায় আমি পড়াশোনা করি”।

এখানেই উঠেছে প্রশ্ন,  কোন কিছু সাহায্য নিয়ে পড়াশোনা করাটা কোন অপরাধের নয়। তাই বলে টিএমসিপি-র ছাত্রনেতা হিসেবে দাদাগিরি ? সেটা কি মেনে নেওয়া যায় ?  প্রকাশ্যে  সেই ছবি উঠে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীকে ফেলে বের করে দেওয়া হচ্ছে কলেজ থেকে এবং সেই কাজের নেতৃত্বে কে রয়েছে ? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সেই সুমিত মন্ডল।


www.aajkhabor.in

  • ২০২৬এর পর মমতাদি আপনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না : অমিত শাহ 

  • সিকিমে প্রবল বর্ষণে তিস্তা বিপদ সীমার কাছে 

  • অনুব্রত সোমবার জামিন নিতে পারেন আদালত থেকে 

  • শিলিগুড়িতে রেলের জমি ১ টাকায় পাট্টা  দিতে চাইছেন মেয়র 

  • ফের একবার ভারত পাক সংঘাত বন্ধের কৃতিত্ব নিল  আমেরিকা

  • বার্তা তুলে নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ ছেড়ে কলম্বিয়া এখন ভারতের পাশে 

  • ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত

  • সিকিমের সাথে দার্জিলিংকে মিলিয়ে দেওয়ার দাবী উঠল পাহাড়ে

  • সিকিমে যাওয়া হল না নরেন্দ্র মোদীর

  • বাড়ি বাড়ি ঘুরে কারা  তথ্য জোগাড় করছিল ?  জানতে চাইছে পুলিশ 

Loading

Leave a Comment