উত্তরাখণ্ডে আচমকা হড়পা কাদাবানে  নিখোঁজ গ্রামের একাংশ 

ভয়াবহ বিপর্যয় বললেও কম বলা হয় এই ঘটনাকে 

আজ খবর (বাংলা), [দেশ] দেরাদুন, উত্তরাখন্ড, ০৫/০৮/২০২৫ :  উত্তরাখণ্ডে ক্ষীরগঙ্গা নদীর আচমকা কাদা প্লাবনের হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো আস্ত একটি পাহাড়ি গ্রামকে।  বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

উত্তরাখণ্ডের হরসিল  এলাকায় ধারালি  গ্রামে এখন শ্মশানের শূন্যতা বিরাজ করছে।  হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছিল. এর ফলে পাহাড়ি নদীগুলো রীতিমত ফুঁসছিল।  নদীগুলিতে জলস্তর অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছিল , যে কোনো দিন পাহাড়ের যে কোনো জায়গাতেই বিপর্যয় নেমে আসার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাচ্ছিল। 

আজ উত্তরাখণ্ডের হরসিলের মত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে আচমকাই ক্ষীর গঙ্গা নদীতে হড়পা  বান  দেখা যায়। আর তার সাথে সাথেই মেঘ বিস্ফোরণের মত ঘটনাও ঘটে। এর ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে ভয়াবহ কাদার প্লাৱন নামতে দেখা দেয়। সেই কাদা আর জলেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় ধারালি গ্রামের একটা বড় অংশ। বহু মানুষ কাদা জলের নিচে আটকে যায়।  সেই প্লাবন ধুয়ে মুছে নিয়ে যায় অনেকগুলি বাড়ি, হোটেল, দোকান-পাট, বাজার, গাড়ি, বাস সবকিছু। বহু মানুষ স্রেফ নিখোঁজ  হয়ে গিয়েছে এই ঘটনায়। 

উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, দমকল, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলি একযোগে ঘটনাস্থলে কাজ করে চলেছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে।  ঝুলন্ত সেতু ব্যবহার করে কাদাজল থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে এক এক জন গ্রামবাসীকে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি  গভীর উদবেগ প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধারকারী দলকে জরুরী নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে উত্তরাখণ্ডে এর আগেও মেঘফটা বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে ৫,৭০০ জনেরও বেশি লোককে “মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল”। এর মধ্যে ৯৩৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। পরে মৃতের সংখ্যা ৬,০৫৪ জন বলে ঘোষণা করা হয়।


Loading

Leave a Comment