জমা জলে দাঁড়িয়ে ঘাটালের পরিস্থিতি দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য] ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর, ০৫/০৮/২০২৫ : ঘটালে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আজ ঘটালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বঁন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাথে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ ও অভিনেতা দেব।
দীর্ঘ দুই মাস ধরে ঘটালে বন্যা পরিস্থিতি রয়েছে। ঘাটালের প্রায় সব জায়গাই ডুবে রয়েছে জমা জলে। কোথাও গোড়ালির সমান জল তো কোথাও প্রায় কোমরের কাছে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাষবাসের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক। গ্রামের দিকের রাস্তাগুলিতো বটেই, ঘাটালের রাজ্য সড়কও জলের তলায় ডুবে আছে। রাস্তা দিয়ে চলছে নৌকো। এই পরিস্থিতিতে সঙ্গে দেবকে নিয়ে নিজেই ঘাটালের পরিস্থিতি দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমা জলে দাঁড়িয়েই তিনি বেশ কিছুক্ষন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে গেলেন। স্থানীয় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
মমতা বন্দ্যোপধ্যায় এদিন বলেন, “কেন্দ্র কিছুই করছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একটুও কাজ করে নি কেন্দ্র। আগে বন্যায় ডুবে গেলে কেন্দ্র সরকার ক্ষতিপূরণ দিত, অর্থ সাহায্য পাঠাতো। এখন আর কিছুই দেয় না। সাহায্যও করে না। ১০০ দিনের কাজও বন্ধ করে দিয়েছে। এবার রাজ্যের তাকাতেই হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। বর্ষার পরেই কাজে হাত দেওয়া হবে. ” তিনি বলেন, “জল নামলে এই এলাকায় কৃষি দপ্তর সার্ভে করার কাজ করবে। কেন্দ্র কিছু না করলে রাজ্য সরকারই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজে হাত দেবে। আপাতত এখানে ৭ কোটি টাকার পাম্পঘর বসানো হবে। শিলাবতী নদীর ধার ধরে গার্ড ওয়াল তৈরি করা হবে।”
মমতা এদিন অভিযোগ করে বলেন, “ডিভিসির ছাড়া জলেই ভেসেছে দক্ষিণবঙ্গ। ওরা জল ছাড়ার ব্যাপারে কিছু জানায় না.ওরা আগে থেকে জানালে এই পরিস্থিতি হত না। এরপরেই মমতা বাংলা ভাষা নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ঘাটালের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “এপিক কার্ড আছে বলে বসে থাকবেন না। প্রত্যেকেই ভোটার কার্ডে নাম তুলুন। কেন্দ্র এবার এনআরসির নামে এসআইআর নিয়ে এসেছে।”
![]()