এইসব কারণেই ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে আপত্তির ঝড় ওঠে ভারতে

আজ খবর (বাংলা), [দান্তর্জাতিক], নতুন দিল্লী, ভারত, ১৪/০৯/২০২৫ : অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের মুরিদকেতে লস্কর ই তৈবার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সেই ঘাঁটি ফের নির্মাণ করার টাকা যোগাচ্ছে পাকিস্তান।
পহেলগাওঁতে নিরীহ পর্যটকদের ধর্ম যাচাই করে খুন করে দেওয়া হয়েছিল। দেশ জুড়ে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করা হয়েছিল তারই ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের ৭ই মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারত। মিসাইলের পর মিসাইল ছুঁড়ে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গী ঘাঁটি এবং জঙ্গীদের মদতদাতা পাক সেনা ছাউনিগুলি একের পর এক গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানকে কান ধরে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানের যে কয়টি ঘাঁটি বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যেই অন্যতম ছিল মুরিদকেতে মারকাজ তৈবা ঘাঁটিটি। সেই ঘাঁটিকে মিসাইল ছুঁড়ে তছনছ করে দিয়েছিল ভারত। এবার সেই ঘাঁটির ভবনটিকেই ফের নির্মাণ করে তোলার জন্যে অনুদান দিচ্ছে পাকিস্তান। ইন্টেলিজেন্স ইনপুট থেকে জানা যাচ্ছে যে ঐ জঙ্গী ঘাঁটি পুনর্নির্মাণের জন্যে পাকিস্তান সরকার ৪ কোটি পাকিস্তানি টাকা বরাদ্দ করেছে, যদিও ঐ নির্মাণের জন্যে মোট ১৫ কোটি পাকিস্তানী টাকার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে জঙ্গীদের তরফ থেকে। ঐ জঙ্গী ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে লস্কর ই তৈবার জন্যে। এক সময় এই ঘাঁটিতেই ট্রেনিং দেওয়া হত জঙ্গীদের। এখানেই থাকতো অস্ত্র শস্ত্র এবং এখানে উম-উল-কুড়া গ্রূপের জঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
নির্লজ্ব পাকিস্তান জঙ্গী তৈরির আঁতুরঘর হিসেবে গোটা দুনিয়ায় প্রসিদ্ধ। তাই জঙ্গীদের মদত দিতে তারা ফের সেই পুরোন পথেই চলতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অনুদান সংস্থার চোখ রাঙানিকেও ভয় পাচ্ছে না। পাকিস্তান যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেই অনুযায়ী ফের তারা নতুন নতুন জঙ্গী তৈরি করবে আর বিভিন্ন দেশে তাদেরকে অস্ত্র বারুদ দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। সেই কাপুরুষদের আক্রমণে হয়ত ফের প্রাণ যাবে অনেক অনেক নিরীহ মানুষের। পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠনগুলি এখন বন্যা ত্রাণের নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে চাঁদা তুলছে। তার পুরোটাই হয়ত যাবে মানুষ মারার যন্ত্র কিনতে। এর আগে ২০০৫ সালে ভূমিকম্পের ত্রাণের নাম করে চাঁদা তুলে সেই অর্থের ৮০% বিনিয়োগ করা হয়েছিল জঙ্গী তৈরির কাজে। এভাবেই ফান্ড পেয়ে যাচ্ছে ‘লস্কর ই তৈবা’ বা ‘জামাত উদ দাওয়া’র মত জঙ্গী সংগঠনগুলো। মানবিকতার দরুন অর্থ তুলে চলে যাচ্ছে মানব শত্রুদেরই হাতে।