তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য], শান্তিপুর, নদীয়া, ১০/০৯/২০২৫ : বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এবং ডাক্তারের বিরুদ্ধে। তদন্তে পুলিশ।
বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো নদীয়ার শান্তিপুরে। স্থানীয় হরিপুর নীলকুঠি পাড়ার বাসিন্দা অনিমা ঠিকাদার অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে মিন্টু ঠিকাদারকে হার্নিয়া রোগের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন। এরপর একটি বেসরকারি নার্সিংহোম ভুল চিকিৎসা করায় শারীরিক জটিলতা মারাত্মক আকার নেয়। শেষ পর্যন্ত প্রাণ সংশয় তৈরি হওয়ায় তাঁরা ছেলেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বাধ্য হন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ইংরেজি মাসের ১৫ তারিখ মিন্টু ঠিকাদারকে হার্নিয়ার অপারেশনের জন্য শান্তিপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ১৬ তারিখ চিকিৎসক রাজশ্রী দে ওই অস্ত্রোপচার করেন। অপারেশনের তিনদিন পর রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে বাড়ি ফেরার পর থেকেই দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের সেলাইয়ের জায়গা থেকে ক্রমাগত রক্ত ও পুঁজ বের হচ্ছে।
পরিবার রোগীকে ফের সেই নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ সেলাই কেটে ড্রেসিং করে দেয়। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসক রাজশ্রী দে নিজে ড্রেসিং করেন বলেও জানান অভিযোগকারি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হয়ে উল্টে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। পরে আবারও নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে নতুন করে সেলাই করে দেওয়া হয় ক্ষতস্থানে।
তবুও অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোগীকে অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন্ত ব্যানার্জি পরিবারকে জানান, আগের চিকিৎসা ও অপারেশনে ভুলের কারণে ইনফেকশন ছড়িয়েছে। আরও দুদিন দেরি হলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হতো না বলেও তিনি স্পষ্টত জানান তিনি।
যদিও অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালে এত রোগীর মধ্যে দু একজনার অপারেশনের পর সেলাই পাকতেই পারে এটা মেডিকেল সাইন্সেই রয়েছে। যদি রোগীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করে এবং উপর মহল থেকে যদি আমাদের ডেকে পাঠায় উপযুক্ত প্রমাণাদি ও তথ্য নিয়ে আমরা দেখা করব।
এরপরেই অনিমা ঠিকাদার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।