বিধায়ক বলছেন যে টাকা ধরা পড়েছে তা সবই ব্যবসার টাকা। সম্পত্তি কেনার জন্যে রাখা হয়েছিল। একই মামলায় এবার তখন অভিনেতা অঙ্কুশকে

আজ খবর (বাংলা) [রাজ্য], কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ৩০/০৮/২০২৫ : তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে আজ ফের পেশ করা হল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তার আগে তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্যে বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেপ্তার করেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ইয়াঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে। ইডি অফিসার তল্লাশি অভিযান চলাতেই জীবনকৃষ্ণ কাছাকাছি একটি জঙ্গলে তাঁর দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন, নিজেও সেখানে গা ঢাকা দিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ইডির সাথে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং মোবাইল দুটিও উদ্ধার করেন। এই ঘটনাটি নিয়ে আজ জীবন কৃষ্ণা সাহা বলেছেন,সেদিন তিনি লুকিয়ে পড়েন নি, স্লিপ খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। মোবাইল দুটিও হাত থেকে স্লিপ করে গিয়েছিল।
এর আগে সিবিআই যখন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল তখন জীবন কৃষ্ণ সাহা তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সিবিআই সেই মোবাইল দুটিকে পুকুরের সব জল ছেঁচে উদ্ধার করেছিল। এবারেও উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোন দুটি। তবে তার মধ্যেই জীবনকৃষ্ণ কোনো ফোন নম্বর ডিলিট করে দিয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখবে ইডি। ইতিমধ্যেই দুটি ফোন ফরেন্সিকের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ইডির ছয় দিনের হেফাজত শেষে আজ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে জীবন কৃষ্ণ সাহাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিধাননগর হাসপাতালে। তারপর ইডির তিনটি গাড়ির গাড়ির কনভয় বিধায়ক জীবন কৃষ্ণকে নিয়ে যায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ আদালতে। জীবন কৃষ্ণ জানিয়েছেন ইডির তদন্তে তিনি সহযোগিতা করছেন, যদিও ইডি সূত্রে খবর তিনি আদৌ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না,তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করছেন।