সুপ্রীম কোর্টে  তিরস্কার রাহুল গান্ধীকে 

যদি প্রকৃত ভারতীয় হতেন এভাবে বলতে না !

আজ খবর (বাংলা), [দেশ], নতুন দিল্লী, ভারত, ০৪/০৮/২০২৫ :  সুপ্রীম কোর্টে  জোর ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁকে রীতিমত তিরস্কৃত করা হল দেশের শীর্ষ আদালতে। 

২০২২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশে ‘ভারত জোড়ো’  যাত্রার ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ঐ  দিন রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাঝে এক ঝাঁক  সাংবাদিক এবং সমবেত মানুষদের মধ্যে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “অরুণাচল প্রদেশে চীনা সৈনিকদের সাথে ভারতীয় সৈনিকদের যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে ভারতীয় জওয়ানরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিলেন, ঐ  ঘটনায় মোট ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২০০০ বর্গকিলোমিটার চীনাদের হাতে চলে গিয়েছে, তা নিয়ে কেন কেউ প্রশ্ন তুলছে না ?”

রাহুল গান্ধীর করা সেই মন্তব্যের জেরে মামলা হয়েছিল, সেই মামলা এখন দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভীকে জিজ্ঞাসা করেন, “রাহুল গান্ধী কিভাবে জানলেন যে ভারতীয় ও চীনা সেনার সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ চলে গিয়েছে ? কিভাবেই বা তিনি জানলেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড চীনাদের হাতে চলে গিয়েছে  ?  এইসব তথ্য তিনি কোথা থেকে পেলেন ? এই তথ্যের প্রমান বা ভিত্তিই বা কোথায় ?” শীর্ষ আদালত মনে করছে রাহুলের করা এহেন বক্তব্য ভারতীয় জওয়ানদের মনোবল কমিয়ে দিতে পারে। 

এরপরেই বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি যদি একজন সত্যিকারের ভারতীয় হতেন, তাহলে এই ধরনের কথা বলতেন না, যখন দেখছেন সীমান্তের দুই দিকে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত বজায় রয়েছে !” রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে অভিষেক মনু সিংভীকে বিচারপতিরা বলেন, “আপনি যা কিছুই বলে থাকুন না কেন, সেসব পার্লামেন্টে গিয়েই তো বলতে পারেন, এই ধরনের বক্তব্য জনসমক্ষে এমনকি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন কেন ? “

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মানহানির মামলায় লখনউয়ের  এম পি এমএলএ  আদালত রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠিয়েছিল। সেই সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল গত ২৫শে  মে. সুতরাং এবার হয়ত  রাহুলকে সশরীরে দেখা যেতে পারে আদালত চত্বরে। 


Loading

Leave a Comment