রাজ্যে বামেদের ডাকা বনধে মিশ্র প্রভাব 

বিভিন্ন দাবী তুলে ভোটের আগে রাজনৈতিক শক্তি ঝালিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌশলটি হল বনধ ডাকা।

আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি] কলকাতা  ,পশ্চিমবঙ্গ, ০৯/০৭/২০২৫ : বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ভারত বনধে আজ রাজ্য জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।  কোথাও যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থেকেছে, আবার কোথাও প্রবলভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল।

অশোকনগর বিল্ডিং মোড়ে যশোর রোড ও হাবড়া এক নম্বর রেলগেটের কাছে যশোর রোড অবরোধ করলো বামপন্থী  কর্মী সমর্থকরা । শ্রমকোড বাতিলসহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বামপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে আগেই বুধবার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে সকাল থেকে চলছে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও অবরোধ।

শ্রম কোড বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বেসরকারিকরণ বন্ধ সহ  বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ১২ ঘন্টা সাধারণ ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়ল বাঁকুড়া শহরের বাস চলাচলে।  সকালের দিকে বাঁকুড়া শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে, যে সমস্ত বাস বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যায় তার একাংশ ছেড়ে গেলেও বহু বাস এদিন নিজস্ব রুটে  বের হয়নি। যে সমস্ত বাস নিজস্ব রুটে বেরিয়েছে সেগুলিতেও একদিকে ধর্মঘট আর অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে  যাত্রীর সংখ্যা রয়েছে হাতেগোনা।

আজ সকাল আটটা নাগাদ বালি বাদাম তলার কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম বিরোধী নীতির প্রতিবাদে   ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন গুলির ডাকা সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘট। উদ্দেশ্যে এবং গোটা পশ্চিমবঙ্গে আইন- শৃঙ্খলার লাগামহীন অবনতির প্রতিবাদে সাধারণ ধর্মঘট। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। 

ডোমজুড়ে সিপিএম কর্মীদের জোর করে রাস্তায় বাস এবং লরি থামানোর পাশাপাশি দোকান বন্ধের চেষ্টা চোখে পড়েছে। আজ সকালে ডোমজুড় বাজারে সিপিএম কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে বাস এবং লরি থেকে চালকদের নামিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং রাফ। পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করলে সিপিএম কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই ঘটনায় দুজন আহত হয়। ডোমজুড় থানার পুলিশ আটক  করে দুজন সিপিএম কর্মীকে। ধর্মঘট এর সমর্থনে সল্টলেক করুণাময়ী মোড় অবরোধ করল সিপিআইএম ধর্মঘট সমর্থকরা। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বনধ সমর্থকদের। ধর্মঘট সমর্থকদের আটক করল বিধান নগর পুলিশ। 

রিষড়া ও কোন্নগর স্টেশনের মাঝে ট্রেন অবরোধ করা হয় । ধর্মতলা কে সি দাসের সামনে বাস আটকানোর চেষ্টা করা হয়, পুলিশের উদ্যোগে বড় কোনো ঘটনা ঘটে নি। 

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বনধের সমর্থনে নবদ্বীপের রাস্তায় নেমেছিলেন বন্ধ সমর্থনকারীরা।  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী মূলত শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বাম সহ সমস্ত শ্রমিক সংগঠন মিলে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে  দেশ জুড়ে। আর এদিন এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে দেখা গেল নবদ্বীপেও। এদিন বন্ধ থাকতে দেখা গেলো নবদ্বীপ  বাসস্ট্যান্ডের বাস পরিষেবা। পাশাপাশি নবদ্বীপ ফেরিঘাটও বন্ধ করে দেয় বন্ধ সমর্থনকারীরা, ধর্মঘটের জেরে বন্ধ থাকে নবদ্বীপ ঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে কৃষ্ণনগরের সকল বাস পরিষেবাও।  এছাড়াও ধর্মঘটের সমর্থনে শহর জুড়ে মিছিল করতে দেখা যায় বনধ  সমর্থনকারীদের।

মালদার মানিকচক ব্লকে বনধের ব্যাপক প্রভাব। বনধের জেরে বুধবার সকাল থেকেই মানিকচক, মথুরাপুর সহ বিভিন্ন হাট-বাজার বন্ধ। খোলেনি দোকানপাট। রাস্তায় সেভাবে দেখা মেলেনি যানবাহনের। তারমধ্যেই চলছে বনধ সমর্থনকারীদের পিকেটিং। পুলিশের সামনেই বনধ সফল করতে হাট-বাজার, দোকানপাটে সর্বাত্মক বনধের রূপ দিতে মরিয়া বনধ সমর্থনকারীরা। নরমে-গরমে চলছে বনধ সফল ক্রার মরিয়া চেষ্টা।

আজ বুধবার দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে একাধিক বাম শ্রমিক সংগঠন সহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহের ডাকে। সেই মোতাবেক আজ সকাল থেকে এই বন্ধের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর জুড়ে। সকাল গড়ালেও বাজারের বেশিরভাগ দোকান রয়েছে বন্ধ, এছাড়াও স্কুল, কলেজ সহ শহর জুড়ে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ঝোলানো রয়েছে বন্ধ সমর্থনকারীদের ঝান্ডা। অন্যদিকে এই বন্ধের জেরে রাস্তায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। সকাল থেকে কিছু সরকারি বাস ও হাতেগোনা কিছু বেসরকারি বাস ছাড়া বেশিরভাগ বাসই রয়েছে বন্ধ। ফলে আজ সকাল থেকে প্রতিপদে নানাবিধ সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সিটু, আইএনটিইউসি সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বুধবার সাত সকালেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মালদায়। মালদা শহরের বনধ সফল করতে রাস্তায় নামলেন বনধ সমর্থনকারীরা। পিকেটিং করলেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়। পাল্টা বনধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় নেমে জনজীবন সচল রাখার আহ্বান জানালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতাকর্মীরা। ফলে দুপক্ষই শহরের রাস্তায় মুখোমুখি হন। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গেও বনধ সমর্থনকারীদের বচসার ছবি নজরে আসে। সব মিলিয়ে বুধবার সকাল থেকেই ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মালদা শহরের বুকে।

১৭ দফা দাবির ভিত্তিতে সারা ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট আর ধর্মঘট সফল করতে পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ী চৌরঙ্গী এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান বামফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এদিন সরকারি বাস থেকে বিভিন্ন লরি ও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে সরব হন তাঁরা। এদিন এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্ট নেতা প্রবীর লাহিড়ী,  সাধন দাস সহ আরও  বামফ্রন্টের নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে উপস্থিত ছিল মালদা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

হলদিয়ায় রেল অবরোধের চেষ্টা ধর্মঘটিদের, লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের দিকে তেড়ে গেলো পুলিশ, রেল পুলিশের সাথে বচসায় জড়ালেন ধর্মঘটিরা।  শিল্প শহরে সকালে ট্রেন অবরোধ করে বাম সমর্থকরা। হটিয়ে দেয় পুলিশ ।  ৯ই জুলাই ধর্মঘটের সমর্থন করে ,ট্রেন অবরোধ করছেন বাম সমর্থকরা। পুলিশ প্রশাসন ধর্মঘটিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন! হলদিয়া বন্দর রেল স্টেশনে ,ট্রেন অবরোধ করে বাম সমর্থকরা।  রেল পুলিশের সাথে বচসায় বাম সমর্থকরা।  ধর্মঘটীদের সরিয়ে দেয় পুলিস।  এরপরেই রাজ্য সড়কে হলদিয়ায় বাস আটকানোর চেষ্টা করে ধর্মঘটী বাম সমর্থকরা ।

কোলাঘাটে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বাম কর্মী সমর্থকদের,রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ,পুলিশের সাথে বচসার পরে বিক্ষোভ তুললেন বামকর্মীরা।  বামেদের ডাকে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব কিছুটা পড়লো পূর্ব মেদিনীপুরে। সকাল সকাল সরকারী বেসরকারী কিছু বাস চললেও পরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাম কর্মীসমর্থকেরা বিক্ষোভ অবরোধে  সামিল হয়।সেরকমই পাঁশকুড়ার মেছোগ্রামে ১৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাম কর্মী সমর্থকরা।প্রায় মিনিট ১ ঘণ্টা অবরোধ করে বাম কর্মীসর্থকেরা।চলে পুলিশের সাথে বচসা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

হাওড়া শহরের চিত্রটা আর অন্যদিন কর্মব্যস্ত কাজের মতনই দেখা গেল। একদিকে যেমন হাওড়া স্টেশন হাওড়া ব্রিজ হাওড়া লঞ্চঘাট সর্বত্রই স্কুল কলেজ অফিস যাত্রীদের ভিড়।  বিভিন্ন জায়গায় বামপন্থী সংগঠনের কর্মীরা, জোর করে বন্ধ সফল করবার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় দু’ এক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটের মধ্যে স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল হাওড়া শহর; কার্যত বন্ধকে সফল করতে দেয়নি প্রশাসন। বা সাধারণ মানুষ সব মিলিয়েই আজকে বন্ধ অসফল বলেই মনে করছে সাধারণ মানুষ। বামপন্থী সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে সাধারণ ধর্মঘটে আজ হাওড়া উলুবেরিয়া স্টেশনের অদূরে, উলুবেরিয়া ব্রিজের নিচে রেললাইন অবরোধ করেন বামফ্রন্টের কর্মীরা। এর ফলে বোন প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচল। পরে ঘটনাস্থলে আরপিএফ জিআরপি এসে বন সমর্থনকারীদের সরিয়ে দেন ট্র্যাক থেকে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।

সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট। বাম সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নগুলি একত্রিতভাবে এবং অবিজেপি ট্রেড ইউনিয়নগুলি একত্রিতভাবে এই আন্দোলনে ডাক দেয়। সেরকমই সকাল থেকেই রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বনধকে  সমর্থন করতে উদ্যোগী হয়েছে বাম সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়ন গুলি। এদিন নদীয়ার কৃষ্ণনগরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বাম ট্রেড ইউনিয়ন সি আই টি ইউ পক্ষ থেকে বনধকে সফল করার ডাক দিয়ে মিছিল করে এবং রাস্তায় যে সমস্ত সরকারি বাস চলাফেরা করছে সেগুলিকে আটকে দিয়ে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয়া হয়। কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক জায়গায় এই মিছিল বার করে সি আই টি ইউ কর্মী সমর্থকরা।

শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোড এলাকায় পুলিশের টুপি ছিনিয়ে নিল বন্ধ সমর্থককারীরা।  মাটিগাড়া ও শিব মন্দির অঞ্চলে দোকানপাট একরকম জোর করেই বন্ধ কর দেয় বনধ  সমর্থনকারীরা। বনধকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির সাতভাইয়া মোড় এ এশিয়ান হাইওয়েতে।বনধকে ঘিরে যান চলাচল বন্ধ করতে চাইলে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের সাথে শুরু হয় বচসা শুরু হয়ে যায়। নকশালবাড়ির সাতভাইয়া এশিয়ান হাইওয়েতে বনধ সমর্থনকারীরা বলপূর্বক স্লোগান করে রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন আটকে দেয়। পরবর্তী সেখানে উপস্থিত হয় রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। আইএনটি টিউসি কর্মী সমর্থকরা। তারা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। রাস্তায় আটকোনো যানবাহন স্বাভাবিক করে দেয়। যার ফলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক বচসা ও হাতাহাতি। বনধ সমর্থনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে আইএনটিটিউসি কর্মীরা তাদের ওপর চরাও হয়। মারধর করা হয় তাদেরকে। ঘটনা স্থলে রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিস একজনকে আটক করেছে ।

বুধবারের ১২ ঘণ্টার সাড়া ভারত ধর্মঘটে কার্যত বিচ্ছিন্ন জলপাইগুড়ি শহর এবং জেলার স্বাভাবিক জনজীবন।  এদিন সকাল থেকেই ধর্মঘট ডাক দেওয়া বামপন্থী এবং জাতীয় কংগ্রেস দলের শাখা সংগঠন তাদের সর্ব শক্তি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পিকেট শুরু করে যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা জেলা ডাক ঘর ,রেল স্টেশন, দুরভাষ অফিস গুলো প্রমুখ, এছাড়াও রাজ্যে সরকারের অধীন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোতে বাস চালক দের এই সাধারণ মানুষের স্বার্থে আহ্বান করা এই ধর্মঘটকে সফল করতে সহযোগিতার আবেদ করেন ।  যদিও রাজ্যে পুলিশ জলপাইগুড়ি শহরের শান্তি পাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে সকালেই ৭ জন ধর্মঘটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে, এছাড়াও শহরের অন্যতম ব্যাস্ত বাজার বউ বাজার এলাকায় পুলিশ দোকান খোলা রাখার কথা বলে এবং ধর্মঘটিদের আটক করে স্বয়ং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। বেলা গড়াতেই ধর্মঘট সফল করতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা নির্মল ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে জেলা আদালতের প্রবেশ গেটে অবস্থান শুরু করে।যদিও ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে জেলা আদালতের বিচারক দের আদালত চত্বরে প্রবেশে করায় পুলিশ। এই স্থানে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা জাতীয় কংগ্রেস দলের সদস্য নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন,শ্রমিকদের স্বার্থে আজকের এই ধর্মঘট ,কারন কেন্দ্রিয় সরকারের নতুন শ্রম আইন সম্পূর্ণ ভাবে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী, আমরা সবাই সেই কারণেই আজ ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নামতে বাধ্য হয়েছি, অথচ রাজ্যে সরকার পুলিশ দিয়ে এই ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করছে। অপরদিকে বুধবারের ধর্মঘটের ব্যাপক সাড়া পরে জলপাইগুড়ির প্রধান ব্যবসায়িক স্থান দিন বাজারে ,একমাত্র ওষুধের দোকান ছাড়া সকাল থেকেই বন্ধ অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো।রাজ্যে সরকারের  অফিস গুলিতে কিছু সংখ্যক কর্মচারী উপস্থিত থাকলেও বেসরকারি পরিবহন মালিকেরা রাস্তায় বাস না চলানোর কারনে জেলা শাসকের কার্যালয়ে অন্যান্য দিন বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসা মানুষের ভিড় শূন্য ছিলো বুধবার।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সব গুলো শাখার সামনে ধর্মঘটি বামপন্থী এবং কংগ্রেস দলের সদস্যরা অবস্থান করায় নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংক খোলা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। শহরের রাস্তায় হাতে গোনা কয়েকটি টোটো চলতে দেখা গিয়েছে বুধবার।


Loading

Leave a Comment