সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মাওবাদীদের

আজ খবর (বাংলা), [দেশ] রায়পুর, ছত্তিসগড়, ০৫/১১/২০২৫ : প্রত্যেকদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাওবাদী বা নকশালদের একটু একটু করে ঘিরে নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমান নকশাল নেতাদের আত্মসমর্পনের পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন নকশাল নেতারা।
২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদকে শূন্য করার ডাক দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ.। সেই অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে এই নিরাপত্তা বাহিনী। এই বাহিনীর মধ্যে আছেন পুলিশ আধিকারিক, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, সেনাবাহিনীর একাংশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। এঁরা একত্রে ‘নিরাপত্তা বাহিনী’ হিসেবে কাজ করছেন। উন্নত অস্ত্র শস্ত্র রয়েছে এঁদের কাছে। দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এই ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীকে খোলা ছেড়ে দিয়েছেন।
চলতি বছরে অমিত শাহের দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার নির্দেশ পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই কাজ এখন সাফল্যের সাথে শেষ হতে চলেছে। ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহার এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা নক্সাল নেতাকর্মীদের আত্মা সমর্পন করতে বলা হয়েছে। তার পরিবর্তে এই নেতা কর্মীদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার আয়োজন করা হয়েছে। চাকরি দেওয়া হচ্ছে। অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, এছাড়াও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বহু নকশাল নেতা কর্মী সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন।
যাঁরা আত্মসমর্পন না করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে মনস্থ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যেকেউ হয়ত গ্রেপ্তার হয়েছেন, আবার কেউ এনকাউন্টারের শিকার হয়েছেন। মাওবাদী বা নক্সাল প্রাক্তন নেতারা বর্তমান নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন যাতে তাঁরাও আত্মা সমর্পন করেন, অস্ত্র ত্যাগ করেন এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন। কেননা যে স্বপ্ন দেখে বা যে উদ্দেশ্যে এই নকশাল নেতারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, সেই উদ্দেশ্যপূরণ থেকে এখন বহুদূরে রয়েছে তাঁদের সংগ্রাম। তাছাড়া এই মুহূর্তে সরকারের যা নীতি তাতে অস্ত্র হাতে নিয়ে এই সংগ্রাম চালানো যাবে না। প্রাক্তন নকশাল নেতারা মনে করেন গুলি খেয়ে মরার থেকে সমাজের মূল স্রোতে থাকা উচিত হবে।
![]()