নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগ, পালাতে পারেন দেশ ছেড়ে

বিকেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন  

আজ খবর (বাংলা), [আন্তর্জাতিক] কাঠমান্ডু, নেপাল,০৯/০৯/২০২৫ : বিদ্রোহের আগুনে দগ্ধ হচ্ছে নেপাল। দেশজুড়ে  মিডিয়া হালু হয়ে গেলেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আজ সকাল থেকেই নেপালের মানুষ আন্দোলনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতার করতে শুরু করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। 

সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ রাজপথে নেমে আন্দোলনে সামিল হতে শুরু করেন। আন্দোলন কাঠমান্ডু ছেড়ে নেপালের অন্যান্য শহরেও পৌঁছে যায়. রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ দেখানো হলেও আজ পুলিশ ছিল অনেকটাই সংযত। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী ওলির  পদত্যাগ দাবি করতে থাকে। একদল মানুষ পার্টি অফিস ভাংচুর করে, আর একদন মানুষ রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ঢুকে পরে তান্ডব চালায়। প্রধানমন্ত্রীর জনকপুরে অবস্থিত ব্যক্তিগত ভবনেও ভাংচুর করা হয়. তাঁর বালকোটের অফিসও  ভেঙে দেওয়া হয়. ইতিমধ্যেই ত্রিভুবন নারায়ণ বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়. নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।  সংসদ ভবনেও ঢুকে গিয়েছে উন্মত্ত জনতা।  আজ বিকেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। 

একটি বড় হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের লোকজনকে উঠতে দেখ যায়. নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেই পরামর্শ মেনেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন কে পি শর্মা ওলি।  অলি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মানুষের। আর এই কারণেই আন্দোলন তীব্রতা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গনবোদ্রোহে রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি নেপালের। সীমান্তের এপার থেকে নেপালের পরিস্থিতির ওপর কড়া  নজর রেখেছে ভারত।  ভারত-কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। 


Loading

Leave a Comment