প্রায়ই চা বাগানে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে থাকায় চিন্তিত প্রশাসন

আজ খবর (বাংলা), [রাজ্য] নাগরাকাটা, জলপাইগুড়ি, ০৮/০৯/২০২৫ : চা বাগানে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন ৩৫ জন শ্রমিক। দিন কয়েক আগেই গাঠিয়া চা বাগানে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩ জন শ্রমিকের। এবারের দুর্ঘটনাস্থল হোপ চা বাগান।
গাঠিয়া চাবাগানের পর এবার নাগরাকাটার হোপ চাবাগান থেকে কাজ করে পিক আপ ভ্যানে করে বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার পথে নাগরাকাটার টিআরএ বস্তির কাছে ১৭ নং জাতীয় সড়কে একটি বাইককে বাচাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা মারল। এঘটনায় গাড়িতে থাকা ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। গাঠিয়া চাবাগানে পিক আপ ভ্যান দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর পর ফের এদিনের এই ঘটনায় চাবাগানের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। বারে বারে পুলিস ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাবাগান কতৃপক্ষকে সতর্ক করা হলেও তারা যে প্রশাসনের নির্দেশকে যে মানছে না তা এদিনের ঘটনা তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আর যাইহোক এদিনের এই ঘটনার পর হাসপাতালে সাথে সাথে চলে আসে নাগরাকাটা থানার পুলিস, চলে আসে চম্পাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রমেশ তিরকি, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রবিন সিং ঝা, পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জুরুল হক, এলাকার বাসিন্দা মোবারক আলি সহ অনান্যরা। সকলেই এদিনের এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চম্পাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রমেশ তিরকি বলেন, খুবই দু:খজনক ঘটনা গাঠিয়া চাবাগানের পর ফের আবার সেই পিকআপ ভ্যানে দুর্ঘটনা ঘটল।এবারে ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে এবারে একটি বাইককে বাচাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আরো বড় ঘটনা ঘটতে পারত। তাই আমরা প্রশাসনকে আবেদন জানাবো এমন ব্যবস্থা করুক যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। আর শ্রমিকেরাও কাজ করে তারা তাদের সংসার চালাতে পারে।
উল্লেখ্য এর আগে গাঠিয়া চাবাগানে পিক আপ ভ্যানে করে যেতে দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।প্রায় ২৫ জন আহত হয়।এরপরই ব্লক ও পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাবাগান গুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক করে। সেখানে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছিল পণ্যবাহী গাড়িতে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া যাবে না।কিন্তু দেখা গিয়েছে পরের দিন থেকেই একইভাবে পিক আপ ভ্যানে শ্রমিকদের গরু-ছাগলের মত করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।যার ফলস্বরূপ আজকের এই দুর্ঘটনা।