জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে মোদী উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখালেন 

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে উন্নয়নের টার্গেট তৈরি করলেন মোদী 

আজ  খবর (বাংলা), [দেশ], নতুন দিল্লী, ভারত, ১৫/০৮/২০২৫ :  দেশের ৭৯তম  স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখালেন উন্নত ভারত গড়ে তোলার। এবার একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১২তম বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেমি কন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন, জেট ইঞ্জিনের উন্নয়ন, যুব কর্মসংস্থানের জন্যে ১ লক্ষ কোটি টাকা এবং পারমানবিক শক্তির দশ গুণ উন্নতির কথা বলেন। ভারতকে নয়া ভারত হিসেবে তৈরি করে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিশ্বের মধ্যে এক উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন।

মোদী বলেন, “আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে আমাদের দেশ  সেমি  কন্ডাক্টর কারখানা চালু করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেই প্রচেষ্টা জন্মলগ্ন থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের শেষেই আমাদের দেশ প্রথম মেদ ইন্ডিয়া চিপ চালু করবে।  আগামী দুই দশকের মধ্যে দেশের পারমানবিক শক্তি ১০ গুন্ বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে ১০টি চুল্লি একসাথে কাজ করে চলেছে।”দেশের ৭৯তম  স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ মোদীর  

আগামী প্রজন্মের  উন্নয়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রী একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার উদ্দেশ্যই হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা, লাল ফিতের জট  কাটানো, শাসন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা এবং ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দাবী পূরণ করা। প্রধানমন্ত্রী এক লক্ষ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু করেছেন, যার উদ্দেশ্য হল দেশের আগামী প্রজন্মের যুবকদের কর্ম সংস্থানে ব্রতী করে তোলা। এই প্রকল্পে আগামী দিনে কর্ম সংস্থানপ্রাপ্ত নব্য যুবকরা মাসে ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন।  দেশের ৩ কোটি যুব এই সুবিধা পাবেন। 

আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অনুপ্রবেশ ও অভিবাসন দেশের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ, এবার থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্যেও নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ভারতের নাগরিকদের ঐক্য ও অখন্ডতা বজায় থাকবে।  প্রতি বছর জ্বালানি গ্যাস, পেট্রল ও ডিজেল আমদানিতে দেশের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে সৌরশক্তি, হাইড্রোজেন, জল ও পারমানবিক শক্তির উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি সমুদ্রের নিচের সম্পদ আহরণ করার প্রচেষ্টাও চালানো হচ্ছে। 

মোদী বলেন, “যেভাবে আমরা করোনার সময় ভ্যাকসিন বানিয়েছিলাম, ডিজিটাল পেমেন্টের জন্যে ইউপিআই বানিয়েছি, সেভাবেই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জেট ইঞ্জিন বানানো আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ও যুব সমাজের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জকেও জিতে দেখাতে হবে।”


Loading

Leave a Comment