দিল্লীতে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল গাড়ির দরজা 

মৃত ৯, আহত অনেক 

আজ খবর (বাংলা), [দেশ],নতুন দিল্লী, ভারত, ১১/১১/২০২৫ :  খোদ দিল্লিতে ফের একবার নাশকতার চেষ্টায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। 

গতকাল সন্ধ্যেবেলায় দিল্লীর লাল কেল্লার কাছে এবং চাঁদনী চকের অদূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।  ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি আই ১০ গাড়ির মধ্যে বোমা মজুত করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। লাল কেল্লার কাছে একটি ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল ঐ  ঘাতক গাড়িটি। সকলেই লাল সিগন্যাল  সবুজ হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন।  ঠিক সেই সময় সশব্দে ফেটে যায় একটি গাড়ি বোমা। ভয়ংকর শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ঘাতক গাড়িটির একটি দরজা ছিটকে শূন্যে উড়ে যায়। গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

ঐ  সিগন্যালের  আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে যে সব মানুষ ছিলেন তাদের বেশিরভাগই আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এখনও  পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯, তবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লীর এই বিস্ফোরণ গোটা দেশকেই নাড়িয়ে দিয়েছে।  আহতদের পাশে দাঁড়াতে দ্রুত বাবু জগজীবানরাম হাসপাতালে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের পাশে দাঁড়াতে হাসপাতালে ছুটে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।  এই ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণন।  

দিল্লী বিস্ফোরণের পরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ড রাজ্যে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে।  অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রহরা বৃদ্ধি করা হয়েছে।  ঘাতক গাড়িটি সলমান নামে এক ব্যক্তির নামে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিনি সম্ভবত হরিয়ানার মানুষ। তিনি দাবি করেছেন যে ঐ  ঘাতক গাড়িটি তিনি বিক্রি করেছেন। গাড়িটির ফরেনসিক করা হচ্ছে। ঐ  গাড়িটির বর্তমান ও প্রাক্তন মালিক দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত করে তুলেছে দেশবাসীকে। দেশের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা বিভাগ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।  ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সারাজীবন যথেষ্ট সুনামের সাথেই কাজ করে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ কেন আজ এই ধরনের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ করা হল তা বোঝা যাচ্ছে না।  দিল্লী পুলিশ, এটিএস এবং অন্যান্য এজেন্সি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করাও হয়েছে।  এখনও  পর্যন্ত কোনো জঙ্গী গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নি। 


Loading

Leave a Comment