রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ছাত্র যুবদের ক্ষেপিয়ে তোলার এই প্রচেষ্টা বেশ সফল, এর পিছনে কি গুপ্ত রাষ্ট্র ? উঠছে প্রশ্ন

আজ খবর (বাংলা), [আন্তর্জাতিক], কাঠমান্ডু, নেপাল, ০৯/০৯/২০২৫ : নেপালের যুব সম্প্রদায়ের প্রবল চাপের কাছে মানলো নেপাল সরকার। গতকালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্যে শোকপ্রকাশ করে নিষিদ্ধ সমাজ মাধ্যমের ল্যাটফর্মগুলিকে ফিরিয়ে আনতে হল সরকারকে।
বিশেষ কয়েকটি সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম থেকে সমাজে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে ইত্যাদি অভিযোগ তুলে নেপালে চলা বিদেশী সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিবন্ধিকরণের কথা বলেছিল নেপাল সরকার। সেই নিবন্ধিকরণের শেষ তারিখ ছিল সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখে। কিন্তু ঐ দিন দেখা গেলো অন্তত ২৬টি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধীকরণ করে নি। ঐ ২৬টি প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নেপাল সরকার। এরা প্রত্যেকেই মার্কিন সংস্থা।
এরপরে নেপালের তরুণ প্রজন্মের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান -এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করতে শুরু করে। তারা সংসদ ভবনেও ঢুকে পরে। এই সময় পুলিশের সাথে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।অবাধ্য আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়, এমনকি গুলিও চালাতে হয়। এই ঘটনায় মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার কারনে ভারতীয় সীমান্তেও সতর্কতা গড়ে উঠতে দেখা যায়।নেপালের অশান্তি রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়িয়ে পোখরা, ভারতপুরেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশের পর অশান্ত হয়ে উঠেছে নেপালও। দেখা যাচ্ছে প্রত্যেক জায়গায় ছাত্র যুবদের ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে তারাই। দেশ জুড়ে বড়সড় অশান্তি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সরকারের পালাবদল পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে।
দেখা গেলো নেপালে কিছু বিদেশী সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম দেশের সরকারের থেকেও বেশি পছন্দের হয়ে উঠেছে। দেশের সরকারে দুর্নীতি চলছে এই অজুহাতে কয়েকটি বিদেশী এপ্লিকেশনকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সে দেশের যুবসমাজ। শেষমেশ ক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার করে সরকারকে ব্যান তুলে নিতে হয়েছে। নেপালে ফের চালু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ঐ প্ল্যাটফর্মগুলি।
এর পিছনে কি গুপ্ত রাষ্ট্রের হাত রয়েছে ? উঠছে প্রশ্ন। তবে সবচেয়ে সাংঘাতিক যে বিষয়টি, সেটা হল পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপাল চার দিক থেকেই অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে ভারতকে। রীতিমত ঘিরে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে ভারতেরও কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই গুপ্ত রাষ্ট্রের ভাষাতেই কথা বলতে শুরু করেছেন ভারতে।