অগ্নিগর্ভ নেপালে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৯, আহত ২০০

অশান্ত শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল, জঙ্গী দেশ পাকিস্তান, ভূমিকম্পে বিদ্ধস্ত আফগানিস্তান।  ভারতের চারদিকেই অশান্তি —

আজ খবর (বাংলা), [আন্তর্জাতিক], কাঠমান্ডু, নেপাল, ০৮/০৯/২০২৫ :  দেশের সরকার সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করলে কি ঘটেতে পারে তা দেখিয়ে দিল নেপাল।  কিছু সোশ্যাল মিডিয়াকে সাসপেন্ড করার জন্যে নেপালের তরুণরা ক্ষেপে উঠলেন। তাঁদেরকে শান্ত করতে গিয়ে পুলিশকে লাঠি চালাতে হল, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে  হল, এমনকি গুলিও চালাতে হলো। যার নিট  ফল হল ১৯টি তাজাপ্রাণ চলে গেল অকালে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন মানুষ। 

অন্যান্য অনেক দেশের মতোই নেপালে সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা ফেক নিউজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। গুজব ছড়াচ্ছে, নানারকম কুকথা বলছে, প্রতারণা করছে। এই ব্যাপারগুলোকে বাগে আনতে নেপাল সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সরকারের কাছে রেজিস্টার করতে বলেছিল। গত ৪ই সেপ্টেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া  মনোভাব দেখতে শুরু করেছে নেপাল সরকার। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া  প্ল্যাটফর্মগুলি রেজিস্টার করে নিলেও মার্কিন প্ল্যাটফর্মগুলি রেজিস্টার করে নি। নেপাল সরকার তাদেরকে আরও সাত দিন সময় দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। 

এরপরেও সেই সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলি রেজিস্টার না করানোয় তাদেরকে সাসপেন্ড করে দেয় নেপাল সরকার। এদিকে প্রতি নিয়ত যে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া দিন কাটে না, সেগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ক্ষেপে যায় সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম কাঠমান্ডুর রাস্তায় ভীড় জমাতে থাকেন। তাঁদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে এবং শেষমেশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ-জনতা যুদ্ধে মোট ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

সাধারণ মানুষের বক্তব্য ” আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলাম। পুলিশই  আমাদের উত্যক্ত করে এবং নিপীড়ন করতে থাকে। যারা ক্ষমতার অলিন্দে বসে আছেন তাঁদের কোনো অধিকার নেই আমাদের স্বাধীনতা হরণ করার। প্রয়োজনে তাঁরা পদত্যাগ করুন।” মিছিল থেকে নেপালের রাজতন্ত্রের সমর্থনেও আওয়াজ উঠেছে। এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালে।  ঘটনার দায় নিয়ে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। শিলিগুড়ির কাছে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে নেপালের ওপর কড়া  নজর রেখেছে এসএসবি। শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশের পর ভারতের আর এক সীমান্তবর্তী দেশ অশান্ত হয়ে ওঠায় চিন্তিত কেন্দ্র সরকার। 


Loading

Leave a Comment