দেশজুড়ে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র

বাজারে নিম্নমানের জাল ক্ষতিকর ওষুধের বিক্রি বন্ধ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস্ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশন (সিডিএসসিও) এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছে:
১) ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলিতভাবে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি নিয়মিত পরিদর্শন করে চলেছে সিডিএসসিও। এ পর্যন্ত ৯০৫টি ইউনিট পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯৪টির বিরুদ্ধে উৎপাদন বন্ধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, সতর্ক বার্তা, শো-কজ নোটিশ সহ একাধিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২) ৩০০ ধরনের ওষুধের উপর বার কোড বা ক্যুইক রেসপন্স কোড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৩) প্রতিটি ওষুধের মোড়কের উপর চিহ্নিতকরণ কোড, ব্যাচ নম্বর, ওষুধ প্রস্তুতের তারিখ, মেয়াদ সহ বিভিন্ন তথ্য থাকা বাধ্যতামূলক। ওয়েবসাইটে https://cdsco.gov.in/opencms/opencms/en/Notifications/Gazette-Notifications) কিউআর কোড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।
৪) ড্রাগ অ্যালার্ট (www.cdsco.gov.in) শিরোনামে সিডিএসসিও-র ওয়েবসাইটে ওষুধপত্র সংক্রান্ত তথ্যাদি পাওয়া যাবে।
৫) ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওষুধ, কসমেটিক্স এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ প্রকাশ করেছে সিডিএসসিও। এর মধ্যে রয়েছে – নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা, বাছাই, স্থান নির্ধারণ, সংখ্যা ও নমুনার পরিমাণ, সময়ানুবর্তিতা এবং পরীক্ষাগারগুলির ভূমিকা প্রভৃতির উল্লেখ।
৬) অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির লক্ষ্যে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে।
৭) গুণগতমান বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার সিডিএসসিও এবং রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের জন্য বাসস্থান, প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২২,৮৫৪ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিডিএসসিও। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২০ হাজার ৫৫১ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
![]()