কাশ্মীরে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে জঙ্গী নিধন করে চলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আজ আরও দুই সশস্ত্র জঙ্গীকে নিজের করে দেওয়া হল.

আজ খবর (বাংলা), [দেশ] নতুন দিল্লী, ভারত, ৩০/০৭/২০২৫ : জম্মু ও কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছেই আজ আরও দুই সশস্ত্র জঙ্গীকে খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র।
যে সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গী নিধন নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে সংসদে। সেই সময় কাশ্মীর উপত্যকায় একএক করে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে জঙ্গীদের সংখ্যা। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা এবং পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে আজ খবর আসে পাকিস্তানের ওপার থেকে সীমান্ত পার করে অবৈধভাবে কিছু অনুপ্রবেশকারী ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
এই খবর পেয়ে অপারেশন ‘শিবশক্তি’ শুরু করেন জওয়ানরা। এলওসির কাছে অনুপ্রবেশকারীদের সাথে গুলির লড়াই বেঁধে যায়। দুই পক্ষই প্রচুর গুলি চালাতে থাকে, এনকাউন্টারে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।শেষ পর্যন্ত দুই জঙ্গীর মৃত্যু হয়। তাদের হেফাজত থেকে মোট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সেনাবাহিনীর হোয়াইট কর্পস বাহিনী অপারেশন ‘শিব শক্তি’র মাধ্যমে দুই সশস্ত্র জঙ্গীকে খতম করে দিয়েছে। গোটা এলাকায় কর্ডন করে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে যদি আর কেউ ঐ এলাকায় লুকিয়ে থাকে তার খোঁজে।
এদিকে কাশ্মীরের নাগরোটা থেকে সন্ত্রাসবাদীদের এক সহযোগীকে ধরা হয়েছে। নাম আজান হামিদ গাজী। এই ছেলেটি শ্রীনগরের কামারোয়ারির বাসিন্দা। আজান নাগরোটা বাইপাসের কাছে একটি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় তাকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাকে ধরা হয় এবং তার গাড়িতে চালকের পাশের আসনের নিচ থেকে একটি হাতব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যে ব্যাগে ছিল তিনটি পিস্তল, ফাঁকা ও ভর্তি বেশ কিছু কার্তুজ ও ম্যাগাজিন। আজান এই অস্ত্রগুলির কোনো ডক্যুমেন্টস দেখতে পারে নি. পুলিশের সন্দেহ আজান সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করত। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
![]()