দেশ চাইছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিক : কংগ্রেস 

আজ খবর (বাংলা), [রাজনীতি], নতুন  দিল্লী, ভারত, ০৫/০৫/২০২৫ :  পাকিস্তানকে আক্রমণ করা নিয়ে এবার বোধ হয় চাপের পথে হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস। 

কিছু দিন আগেই যখন পাকিস্তানকে কিভাবে শাস্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে চরম সিদ্ধান্তের পথে চলতে শুরু পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঠিক সেই সময় বিষয়টি নিয়ে সংসদে আরও একবার আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই সময় হাবে ভাবে কংগ্রেস বোঝাতে চেয়েছিল যাতে পাকিস্তানের সাথে ভারত যুদ্ধে না যায়। তখন কিন্তু কংগ্রেসের পাক প্রেম কিছুটা হলেও দেখা দিচ্ছিল। যদিও পাকিস্তানকে আক্রমন করার মত কঠোর ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসেনি ভারত সরকার।

কিন্তু পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর  কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন, অথচ ভারত এখনো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নি, এমনকি এমন বড় কিছুই করে নি যাতে মনে হতে পারে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে ভারত দৃষ্টান্তমূলক কিছু করতে চলেছে। আজ উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই বলেছেন, “ভারতের জনসাধারণ গর্জন করছে, তারা চাইছে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে। ভারত এখনই কোনো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। ”  

এখনকার যুদ্ধ সেভাবে করা হয় না। এখন গোলা  গুলির লড়াই ছাড়াও থাকে কূটনীতি, আন্তর্জাতিক চুক্তি, অর্থনীতি, রাজনীতি, পরিষেবা অবরোধ ইত্যাদি ইত্যাদি। ভারত বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র প্রদর্শন করে চলেছে। ভারতীয় বায়ু সেনা যেমন যুদ্ধ বিমান ওড়াচ্ছে, তেমন ভারতীয় নৌ সেনা জাহাজ থেকে মিসাইল দেগে দেখাচ্ছে। ভারতের এই আস্ফালনে পাকিস্তান যে চুপসে রয়েছে এটাও সত্য। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পাকিস্তান চীন ছাড়াও পাশে পেয়েছে আজারবাইজানকে। অথচ ভারতের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুকে সমর্থন করতে গোটা বিশ্ব রাজি। এখনেই প্রথম নৈতিক জয় ভারতের। এমনকি রাষ্ট্র সংঘ পর্যন্ত পাকিস্তানকে তিরস্কার করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। 

ভারত ইতি মধ্যেই পাকিস্তানের দিকে যাওয়া নদীগুলির গতিপথ বন্ধ করে দিয়েছে।  ভারত তার নিজের আকাশ সীমা এবং সমুদ্র জলসীমা পাকিস্তানের জন্যে বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত থেকে  সমস্ত পাক নাগরিককে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে। পাকিস্তান একদিকে যেমন ভারতের ধমক খেয়ে চলেছে আর একদিকে তাদের শুনতে হচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবানি হুমকি। আবার নিজের দেশের মধ্যেই বালুচ বিদ্রোহীদেরকে সামলাতে হচ্ছে তাদের। সব মিলিয়ে জেরবার পরিস্থিতি তাদের। 

ভারতে জনসাধারণ চাইছে চাটু  গরম থাকতে থাকতে ভারত যেন রুটি সেঁকে নেয়।  অর্থাৎ ভারত যেন সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেনাবাহিনীকে মুক্তহস্ত করার পরেও ভারত সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশের অভ্যন্তরেই। কংগ্রেস নেতৃত্ব  এই চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। 


Loading

Leave a Comment